রাত জেগে কি এবার কলকাতায় দুর্গাপুজো দেখা যাবে? পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠকে যা বললেন মমতা
সামনেই উৎসবের মরশুম। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ভারতের বুকে থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে। ফলে এই সময়টা কড়া কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের জমায়েতের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা
সামনেই উৎসবের মরশুম। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ভারতের বুকে থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে। ফলে এই সময়টা কড়া কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের জমায়েতের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে।
এই অবস্থায় আজ মঙ্গলবার শহরের সমস্ত পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর সেই বৈঠক থেকে কার্যত স্বস্তির বার্তা দেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, পুজো হবে। তবে অবশ্যই কোভিড বিধি মেনে এই পুজো হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন, ''আগের বছর সরকার যে সমস্ত নিয়ম ঘোষণা করেছিল, এ বছরও তা কার্যকর থাকছে। ফলে আপনাদের কোনও অসুবিধা হবে না। নিয়ম মেনে পুজো করতে পারবেন।''
আর এই ঘোষণাতে কার্যত কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে এবার পুজো হবে কিনা এই বিষয়ে একটা সন্দেহ তৈরি হিয়েছিল। শুধু তাই নয়, পুজো করাও সম্ভব কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ বাজেট একটা বড় ব্যাপার।
যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক ঘোষণাতে কার্যত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, বুধবার থেকেই পুরো দমে শুরু হয়ে যাবে পুজোর প্রস্তুতি। তবে এবার কলকাতায় রাত জেগে পুজো দেখা যাবে কিনা সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ করোনার কারনে এখনও একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল নাইট কার্ফু।
সকাল ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কড়া ভাবে নাইট কার্ফু জারি থাকার ফলে পুজোর কয়েকটা দিন কি হবে তা ইয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। সেই বিষয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেই অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে না থেমে মমতা বলেন, ''গত বার পুজোর সময় রাতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এ বার কী করা যায়, তা নিয়ে কয়েক দিন পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। হাতে এখনও কিছুটা সময় আছে। এ ছাড়া, পুজোর বিসর্জন শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে, চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সেই নিয়ম মেনে ১৮ অক্টোবর পুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা। কিন্তু এ বিষয়েও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।''
উল্লেখ্য, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সকালের থেকে বেশি রাতেই কার্যত কলকাতার রাস্তায় পুজো পাগলদের ঢল নামে। গোটা পরিবার নিয়ে রাত জেগে ঠাকুর দেখার মজা আলাদা। কিন্তু এই বছর করোনা কাটাতে সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে বাঙালি? জোর চর্চা।
অন্যদিকে করোনা আবহের মধ্যে নানা সমস্যায় জর্জরিত পুজো কমিটিগুলি। পুজোর বাজেট নিয়েও তারা চিন্তিত। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোিতপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, গতবার যা যা ঘোষণা করা হয়ছিল, এবারও সেটাই হবে।
অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা করে পাবে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। এছাড়াও বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে এদিন ঘোষণা করা হয়, পুজোর লাইসেন্স ফি এবারও মকুব করা হচ্ছে। এই ঘোষণাতে খুশি পুজো উদ্যোক্তারা।