প্রচার শেষ, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের চার আসন দিয়েই শুরু বাংলার ভোট পর্ব
এই চারটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত কেন্দ্র দার্জিলিং। তৃণমূল ও বিজেপির মূলত দ্বিমুখী লড়াই এই কেন্দ্রে। তৃণমূলের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন, তারকা ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। এবং বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন এসএস আহলুওয়ালিয়া। বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা বিজেপির প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন। এদিকে তৃণমূলের প্রার্থী বাইচুংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে ঘিষিংয়ের জিএনএলএফ। ফলে এই কেন্দ্রের লড়াই জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি-তৃণমূলের জোর লড়াই হলেও বিজেপিকে মোর্চার সমর্থন থাকায় তৃণমূলের পক্ষে যে দার্জিলিং আসন থেকে জয় পাওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে একটি আসনই পেয়েছিল তা ছিল এই দার্জিলিং কেন্দ্রই। সেবার বিজেপির হয়ে যশবন্ত সিং দাঁড়িয়েছিলেন এই কেন্দ্র থেকে। সেবারও মোর্চার সমর্থনেই বিজেপি এই আসনে জয়লাভ করেছিল।
এই চার কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৬০,১৪,২৫৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩১,১৪১৮৪ জন। মহিল ভোটারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। উত্তরবঙ্গের এই চার কেন্দ্রের মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২৯,০০,০২৪। বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম মূলত চতুর্মুখী লড়াইয়ে সহ মোট ৪৭ জন প্রার্থী এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
বড় সাংগঠনিক দলগুলি কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। তাই তো বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী যেখানে শিলিগুড়িতে বিশাল জনসভায় কংগ্রেস হঠাও স্লোগান দিয়েছেন সেখানে পিছিয়ে ছিলেন না লেকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মূল আহ্বায়ক রাহুল গান্ধীও। ডুয়ার্সে কর্মী বৈঠকে গিয়ে জয়ের বিষয়ে কর্মীদের মনোবল জুগিয়েছেন।
বাংলার ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসও টক্কর দিতে তৈরি। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার চালিয়েছেন। উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন কয়েক দফা। ২০১১র বিধানসভা নির্বাচনেরই প্রতিচ্ছবি এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলেও দেখা যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী বাংলার শাসক দল। উল্লেখযোগ্য উত্তরবঙ্গের যে চার আসনে প্রথম দফায় ভোট হতে চলেছে তার একটিতেও কখনও জেতেনি তৃণমূল।
নির্বাচন চলাকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১২০ কোম্পানির আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।