তৃণমূলের পথে 'বিদ্রোহী 'অর্জুন? রাতেই পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশ নেতৃত্বের
কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার বিস্ফোরণ! এমনকি পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন তিনি। বিজেপি'র অস্বস্তি বাড়িয়ে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকি জুট নিয়ে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে ত
কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার বিস্ফোরণ! এমনকি পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন তিনি। বিজেপি'র অস্বস্তি বাড়িয়ে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকি জুট নিয়ে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলে মঞ্চে গিয়েও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এই অবস্থায় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে ঘিরেও জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি দিল্লিতে তলব করা হল অর্জুন সিংকে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই দিল্লিতে তাঁকে তলব করা হয়েছে। আর সেই ডাক পেয়ে ইতিমধ্যে দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়েও গিয়েছেন সাংসদ।
আজ রাতেই পীযূষ ও অর্জুনকে মুখোমুখি বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, পীযূষ গোয়েলের বাড়িতেই এই বৈঠক হওয়ার জোর সম্ভাবনা। আর এই বৈঠকে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার বার্তাও নেতৃত্বের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
যদিও এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি অর্জুন সিং। তবে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে বিজেপি সাংসদ বলেন, বন্ত্রমন্ত্রী তিনি নিজে ফোন করেছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে অর্জুন বলেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই।
তবে তাঁর মতে, কেন্দ্রের নীতির কারণে পাট শিল্প ক্ষতি হচ্ছে। বহু শ্রমিক কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন বলেও মনে করেন অর্জুন। উল্লেখ্য, সাংসদ যে বেঁকে বসছে তা ঠের পান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এরপরেই সমস্যা সমাধানে তাঁরা ময়দানে নামে আর বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের কথা বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে অর্জুন সিং আরও জানিয়েছেন, পাট শিল্পের কারনে গোটা দেশেই বাংলার একটা পরিচয় রয়েছে। আর সেই শিল্প যদি কেন্দ্রের কোনও নীতির কারণে ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে বিজেপির থেকে মানুষ মুখ ফেরাবে বলেও মন্তব্য বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের। তবে তাঁর তৃণমূল যোগ নিয়ে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে জল্পনা।
ইতিমধ্যে শাসকদলের তরফে অর্জুনদাকে স্বাগতও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। তিনি বলেছেন, ভুল বুঝে চলে আসলে অর্জুনদার সঙ্গে কাজ করতে তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না। আর সেই কারণেই বিজেপি'র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচলে বসল?
Recommended Video
এই বিষয়ে অর্জুন সিংকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। রাজ্যের মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরছি। এটাই ব্যাস!!