উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খারিজ, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল হাইকোর্ট
হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের, নতুন করে উচ্চ মাধ্যমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু নির্দেশ
উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৫ সালে পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশে প্যানেল থেকে শুরু করে মেধাতালিকা গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ই বাতিল হয়ে গেল।
আদালতের নির্দেশে আবার নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। টেট (টিচার এলিজিবিটি টেস্ট) উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নথি যাচাই পর্ব দিয়েই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারপতি।
পাশাপাশি,
এদিন
উচ্চ
প্রাথমিকে
নিয়োগ
সংক্রান্ত
সবকটি
মামলার
একসঙ্গে
নিষ্পত্তি
করে
নিয়োগের
ক্ষেত্রে
একটি
গাইডলাইনও
বেঁধে
দেন
বিচারপতি।
নির্দেশ
অনুযায়ী,
টেট
উত্তীর্ণ
চাকরিপ্রার্থীদের
নথি
যাচাই
পর্ব
থেকে
শুরু
করতে
করে
আগামী
জুলাই
মাসের
মধ্যে
গোটা
নিয়োগ
প্রক্রিয়া
সম্পন্ন
করতে
হবে।
আদালতের
পর্যবেক্ষণে
বিচারপতি
জানান,
'শিক্ষক
নিয়োগে
স্বচ্ছতা
রেখেই
স্কুল
সার্ভিস
কমিশন
আদালতের
নির্দেশ
পালন
করবে
বলে
মনে
করছে
আদালত।'
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই মতো নিয়ম মেনে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএসসির মিয়ম ভঙ্গ করেছে এই অভিযোগে এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী।
নিয়োগে দুর্নীতি, প্যানেলে অসঙ্গতি সহ একাধিক অভিযোগে তাদের কারও দাবি, কমিশনের তিন নম্বর নিয়মে রয়েছে প্রার্থীর নথি যাচাই পর্ব শেষ করে ইন্টারভিউ করতে হবে। কিন্তু এখানে নথি যাচাই পর্ব শেষ না করেই কমিশন পার্সোনালিটি টেস্ট শুরু করছে, যেটা নিয়ম বিরুদ্ধ। কারও অভিযোগ, ইন্টারভিউ-এর তালিকা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। কারো আবার অভিযোগ ছিল, পাশ না করেই প্যানেলে নাম চলে এসেছে অনেকের। তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এদিন হাইকোর্টের রায়ে অত্যন্ত খুশি মামলাকারীরা।
নাড্ডা কাণ্ডে গ্রেফতার ৭, রাকেশ সিংয়ের নামে মামলা, মোদী সরকারকে পাল্টা আক্রমণ কল্যাণের