গ্রেফতার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন! আরামবাগ টিভির সম্পাদককে নিয়ে ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত
আরামবাগ টিভির সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলাম, স্ত্রী আলিমা খাতুন এবং অপর সাংবাদিক সুরজ আলি খানের গ্রেফতার নিয়ে কার্যত বিপাকে রাজ্য প্রশাসন। হাইকোর্টের বিচারপতি দয়মাল্য বাগচি এঁদের গ্রেফতারের পদ্ধতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপিকে। প্রাথমিক দৃষ্টিতে আদালত মনে করছে তিনজনকে গ্রেফতারের ঘচনায় দেশের সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
গণতন্ত্র লুণ্ঠিত! বাংলায় গ্রহণ লেগেছে, মমতার সরকারকে আক্রমণ জেপি নাড্ডার

২৯ জুলাই বাড়ি থেকে গ্রেফতার
প্রসঙ্গত ২৯ জুলাই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরামবাগ টিভির সম্পাদক শেখ সফিকুল ইসলাম, স্ত্রী আলিমা খাতুন এবং অপর সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। পুলিশের বিরুদ্ধে শেখ সফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগও তোলা হয়েছিল। সফিকুলের দুই শিশু সন্তানকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আরামবাগ থানায়।

অভিযোগ দায়ের ৩ মাস আগে
তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ৩ মাস আগে আরামবাগ থানায় অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী সফিকুলের বাড়িতে হানা দেয়।

সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টকে অমান্য
কলকাতা হাইকোর্টে সফিকুল ইসলামের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি সওয়াল করতে গিয়ে অভিযোগ করেন, এই গ্রেফতারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক জাজমেন্টকে অমান্য করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যমের গণতন্ত্রকে হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশেই আরামবাদ টিভির সম্পাদক ও সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সরকারের অনৈতিক কাজ সামনে
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, আরামবাগ টিভি সরকার ও পুলিশের একাধিক অনৈতিক কাজ সামনে এনেছে। শুরুর লকডাউনের সময় একদিকে যেমন ৫৭ টি ক্লাবকে এক লক্ষ টাকা করে চেক দেওয়ার ছবি সামনে এনেছে তারা, পাশাপাশি রাস্তার ধারে লরি আটকে পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ছবিও সম্প্রচার করেছে তারা। সেই কারণেই মিথ্যা মামলায় এই গ্রেফতার বলে আদালতে সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য।