পোলেরহাট পঞ্চায়েত নিয়ে মামলায় আদাতের রোষে বারুইপুরের পুলিশ সুপার
পোলেরহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের মধ্যে নির্বাচনের বৈঠক নিয়ে বারুইপুরের পুলিশ সুপারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।
পোলেরহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের মধ্যে নির্বাচনের বৈঠক নিয়ে বারুইপুরের পুলিশ সুপারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে পুলিশ সুপার বদলেরও পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, 'যে সুপার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না, তাঁর এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থাকার কোনও অধিকার নেই।'
মঙ্গলবার আদালত এসপিকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। তার মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে তিনি আগের রিপোর্ট নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন, নাকি সাহস সঞ্চয় করে তাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছে সেটা করতে পারবেন। যদি না করতে পারেন তাহলে পুলিশ সুপার বদল করা হবে। এসপির উদ্দেশ্যে এই নির্দেশের পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার হতে চলা পোলেরহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনের বৈঠকেও স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত,
২০১৮
সালে
পঞ্চায়েত
ভোট
মিটলেও
দীর্ঘ
টালবাহনায়
ভাঙর
দুই
নম্বর
ব্লকের
পোলেরহাট
দুই
গ্রাম
পঞ্চায়েতের
বোর্ড
গঠন
এখনও
হয়নি।
এই
বছরের
১৪
জুন
প্রশাসনের
তরফে
একটি
বিজ্ঞপ্তি
দিয়ে
জানানো
হয়,
২৫
জুন
প্রথম
সভা
হবে।
কিন্তু
২২
জুন
প্রশাসনের
তরফে
ফের
বিজ্ঞপ্তি
দিয়ে
বলা
হয়
যে
অনিবার্য
কারণে
২৫
জুনের
সভা
হচ্ছে
না।
প্রশাসনের
এই
সিদ্ধান্ত
বদলের
নির্দেশকে
চ্যালেঞ্জ
করে
আদালতের
দ্বারস্থ
হন
জয়ী
নির্দল
প্রার্থী
লতিব
বৈদ্য।
সেই
মামলায়
গত
৯
জুলাই
বিচারপতি
সমাপ্তি
চট্টোপাধ্যায়
জেলাশাসকের
দপ্তরে
সভা
করার
নির্দেশ
দেন।
বুধবার
ছিল
সেই
সভার
দিন।
কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে আসেন আরও দুই জয়ী নির্দল প্রার্থী আজিজুল মোল্লা ও ছালেয়ারা বিবি। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা ছিল বিজেপি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশনবেঞ্চে মামলাকারীদের অভিযোগ, 'এই সংক্রান্ত মূল মামলার সঙ্গে তাদের যুক্ত করা হয়নি। এবং আইনত এই সভা পঞ্চায়েত অফিসে করতে হয়। কিন্তু তা না করে সেটা হচ্ছে জেলাশাসকের দপ্তরে। যা পঞ্চায়েতের বাইরে।'
সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার এসপি-র রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। জানানো হয়, ওখানে সভা হলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কথা ভেবেই জেলাশাসকের দপ্তরে ওই সভার আয়োজন করা হয়। যার প্রেক্ষিতেই পুলিশ সুপার আদালতের রোষে পড়লেন।