বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বহিষ্কারের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের, আবির খেলায় মাতলেন আন্দোলনকারীরা
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ সহ একাধিক দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছিল। অবশেষে আদালতের নির্দেশে নৈতিক জয় আন্দোলনকারীদের। বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বহিষ্কারের উপর স্থগ
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ সহ একাধিক দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছিল। অবশেষে আদালতের নির্দেশে নৈতিক জয় আন্দোলনকারীদের। বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রের বহিষ্কারের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
তিন ছাত্রকে দ্রুত ক্লাসে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আপাতত আন্দোলন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পড়ুয়ারা অন্দোলন, বিক্ষোভ করতে পারবেন না।
তবে এই রায় অমান্য হলে আদালত কি সেটা উপাচার্যকে বোঝানো হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরে স্বস্তিতে আন্দোলনকারীরা। তাঁরা এই রায়কে তাঁদের নৈতিক জয় হিসাবে দেখছে। আন্দোলনকারী এক ছাত্রীর মতে, উপাচার্যই আমাদের পড়াশুনা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চেয়েচিলেন। কিন্তু আদালত তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে শিক্ষা সবার জন্যে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করতে নামিনি। আমরা আমাদের নায্য দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।
তবে আদালতের নির্দেশ মেনে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি ওই ছাত্রীর। তাঁর দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের। তবে বিশ্বভারতীর ছাত্র বহিস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশে
উচ্ছ্বসিত আন্দোলনকারী পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকরা। এই রায়ের পরেই শান্তিনিকেতনে আবির খেলা শুরু করে দেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। চলে মিষ্টিমুখও।
বলা প্রয়োজন, তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ অগস্ট থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শুরু হয় এই আন্দোলন। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
সেই সংক্রান্ত মামলাতে কলকাতা হাই কোর্ট উপাচার্যের বাসভবন থেকে অন্তত ৫০ মিটার দূরে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশ দেন। এরপর মঞ্চ সরিয়ে নেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু আইনি লড়াই জারি ছিল।
আজ সেই মামলার শুনানিতে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। দু'সপ্তাহের জন্য মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন দীর্ঘ শুনানি হয়।
একাধিক বিষয় উঠে আসে। এদিন পড়ুয়াদের হয়ে আদালতে সওয়াল-জবাবে অংশ নেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অন্যদিকে উপাচার্য বিরোধী অধ্যাপকদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ। তিনি বলেন, ''উপাচার্যের জন্য পৌষ মেলা বন্ধ হয়েছে।
শান্তিনিকেতনের সাধারণ মানুষও তাঁকে সমর্থন করেন না। পচা আলুর বস্তা উনি।'' শুনানিতে এমনই একগুচ্ছ বিষয় উঠে আসে এদিন।