বনগাঁয় ফের আস্থা ভোট! নতুন করে নির্দেশিকা হাইকোর্টের
বনগাঁ পুরসভায় নতুন করে আস্থা ভোট নিয়ে নির্দেশিকা হাইকোর্টের। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে হবে। আর তার ১২ দিনের মধ্যে ভোটাভুটি করতে হবে। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে জেলাশাসককে। পাশাপাশি পুলিশ সুপারকে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। আগের অনাস্থা খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
যতদিন ভোট প্রক্রিয়া চলবে, ততদিন পুরসভার প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখভাল করবেন সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসক বা পুরসভার একজিকিউটিভ অফিসার। বনগাঁ পুরসভার আস্থা-ভোটে অশান্তি নিয়ে ১৮ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি কাউন্সিলররা।

গত মাসে হয়েছিল আস্থাভোট
হাইকোর্টের নির্দেশে গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে আস্থা ভোটে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বনগাঁয়। ১৬ জুলাই অপহরণে অভিযুক্ত দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপির তরফে
দুই কাউন্সিলরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ দেখানো হয়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন তা প্রথমে মানতে চায়নি বলে অভিযোগ। পরে চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য জানান, বিজেপির
তরফে কেউ না আসাই তৃণমূল বোর্ড দখল করেছে। পাল্টা বিজেপির তরফে দাবি করা হয় আস্থা ভোটের সময় তাদের আটকে দেওয়া হয়। পরে বিজেপি দাবি করে বোর্ড তাদের
দখলে রয়েছে।

এমাসেই ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি তৃণমূলের
এমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ বনগাঁয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করেছিল তৃণমূল। তাদের তরফে ফিরহাদ হাকিম এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, বিজেপিতে যাওয়া ৪ কাউন্সিলর ঘরে ফিরেছেন। যার জেরে কাউন্সিলর সংখ্যা ৯ থেকে বেড়ে ১৩ হওয়ার দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে।

বনগাঁর পুরসভায় রাজনৈতিক অবস্থান
বনগাঁ পুরসভায় আসন সংখ্যা ২২। ২০ জন ছিলেন তৃণমূলের। ১ জন করে কংগ্রেস ও সিপিএম-এর। দিল্লি গিয়ে ১২ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ৮-এ নেমে গিয়েছিল। শম্পা মহান্ত দলে ফেরায় তৃণমূলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯-এ। এরপর অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪ জন কাউন্সিলর পুরনো দলে ফিরে যান।
[আরও পডুন: মোদীর হুঁশিয়ারির পরেই ব্যবস্থা! ২২ কর কর্তাকে পাঠানো হল বাধ্যতামূলক অবসরে]