আরামবাগে শিশু নিখোঁজ, সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
আরামবাগের শিশু নিখোঁজের ঘটনায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির একজন অভিজ্ঞ তদন্তকারী অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত কমিটি (সিট) গঠন কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিখোঁজ শিশুর খোঁজ দিতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আদালত।

এদিন মামলার শুনানিতে তদন্ত সংস্থা গুলোর তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'তদন্ত সংস্থা সিআইডি নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্য সরকার আর সিবিআই কে নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্র। যেকোনও সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর 'বডি' নয়। সরকার হলো জনগণ এর নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একটি 'ওয়েলফেয়ার বডি'। সে ক্ষেত্রে আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে জনগণের আস্থা ফেরে।'
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর হুগলির আরামবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন গোঘাটের চাঁদপুরের বাসিন্দা সুভাষ লাহার বউমা অর্পিতা। সেদিন রাতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। কিন্তু পরদিন থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় তার সদ্যোজাত সন্তান। স্থানীয় আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশে অভিযোগ নিলেও ১৬ অক্টোবর অর্পিতা ও তার বাপের বাড়ির কয়েকজনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করে আরামবাগ থানার পুলিশ। তিন মাসে তদন্তের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় নিখোঁজ শিশুকে ফেরত পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শিশুর পরিবার।
তাদের আইনজীবী নীলাদ্রিশেখর ঘোষ জানান, 'স্থানীয় থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। কার্যত আদালতের নির্দেশে এফআইআর হয়। তদন্ত না হওয়ায় হাইকোর্টে আসে পরিবার। তিনমাস তদন্তে কিছুই এগোয়নি। নার্সিংহোমে শিশু মারা গেলে সেই শিশুর দেহ কোথায় ? এই প্রশ্নই তোলা হয় আদালতের কাছে। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার সিআইডির হাতে গেলে তদন্তকারীরা জানান নার্সিংহোমে শিশুটি মারা যাওয়ায় তাকে স্থানীয় নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এখানেও আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, মৃত শিশুকে কেন তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো না ? আর নদীতে ফেলে দিলেও সদ্যোজাতের দেহ কোথায় ? মা ও তার সদ্যোজাতকে ফেরত চায়। পাশাপাশি, তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তের গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে আদালতে।