হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, থমকে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া
২০১৪-র শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার গভীর রাতে প্রকাশিত মেধাতালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং নিয়োগে বেনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে ছ'টি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলায় মামলকারীর আইনজীবীদের দাবি, কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলছে। দুটি ছুটির দিনে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সাতটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগের একেকটি ধাপ শেষ করে ফেলেছেন নিয়োগ কর্তারা। এমন বহু নমুনা রয়েছে যেখানে, নিয়োগে অস্বচ্ছতার উদাহরণ তাদের হাতে আছে বলে আদালতে দাবি করেন আইনজীবীরা।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১৬ হাজার ৫০০ শূন্য পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাঁরা টেট উত্তীর্ণ এবং যাঁদের প্রশিক্ষণ রয়েছে, একমাত্র তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। এর পর শুরু হয় বাকি প্রক্রিয়া। মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৮৪ জন। জানুয়ারি মাসে ৭ দিন ধরে ইন্টারভিউ হয়।
পর্ষদ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যারা টিচারদের ১০% সংরক্ষণ রাখা হয়। এছাড়াও এত কম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এযাবত কালে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারিনি বলেই পর্ষদ সূত্রের দাবি।