তপন দত্ত খুনের মামলাতে ধাক্কা রাজ্যের! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও
তপন দত্ত খুনের মামলাতে ধাক্কা রাজ্যের! সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও
তপন দত্ত খুনের মামলাতে বড়সড় ধাক্কা রাজ্যের। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। দীর্ঘ শুনানি শেষে রাজ্যের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বালির তৃণমূল নেতা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে এই মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই করবে তা স্পষ্ট।
সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শোনান বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। দীর্ঘ ১১ বছর আগের একটি খুনের মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয় আদালত। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ''সিআইডি আসল অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ, তারা ওপর ওপর তদন্ত করেছে''। সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা মনে করে হাইকোর্ট। আর এরপরেই আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শোনায়।
রাজ্যের কাছে বড় ধাক্কা।
যদিও এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ঘিরে শুরু হয় জোর রাজনৈতিক তরজা। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়। আজ প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চও। ফলে দীর্ঘ ১১ বছর আগের এই খুনের মামলা তদন্ত করবে সিবিআই। যা অবশ্যই রাজ্যের কাছে বড় ধাক্কা।
মা দুর্গার আশির্বাদ ছিল
ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের উপর আস্থা প্রকাশ করছেন নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতীমা দত্ত। তাঁর দাবি, আমার আস্থা ছিল। আর এই লড়াইয়ে আমরাই জিতব সেই আত্মবিশ্বাসও ছিল বলে মন্তব্য প্রতিমাদেবীর। শুধু তাই নয়, মা দুর্গার আশির্বাদ ছিল বলেও দাবি তাঁর। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, এই মামলার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের মতো চলবে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই মামলায় প্রথমে অরূপ রায়ের নাম জড়ালেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পরে বাদ যায়।
তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পরেই তপন দত্তের বাড়ি যান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা। আর এরপরেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অভিষেক শ্যালিকার মামলা খারিজ করে হাইকোর্টের মন্তব্য, 'ইচ্ছাকৃতভাবে অবমাননা হয় এমন কাজ করেনি ইডি'