ঢাকার রেস্তোরাঁয় জঙ্গি-হানায় বঙ্গ-যোগ, মালদহে তৈরি হয়েছিল অ্যাসল্ট রাইফেল
ঢাকার রেস্তোরাঁয় জঙ্গি-হানায় এপার বাংলার যোগ পেলেন তদন্তকারী অফিসাররা। ওইদিন হামলায় ব্যবহৃত অ্যাসল্ট রাইফেলটি তৈরি হয়েছিল মালদহে। খাগড়াগড়-কাণ্ডে ধৃত ৬ জঙ্গিকে জেরা করে এই তথ্য জেনেছে এনআইএ।
মালদহ, ২৯ অক্টোবর : ঢাকার রেস্তোরাঁয় জঙ্গি-হানায় এপার বাংলার যোগ পেলেন তদন্তকারী অফিসাররা। ওইদিন হামলায় ব্যবহৃত অ্যাসল্ট রাইফেলটি তৈরি হয়েছিল মালদহে। খাগড়াগড়-কাণ্ডে ধৃত ৬ জঙ্গিকে জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে এনআইএ।
খাগড়াগড়কাণ্ডের ধৃত জঙ্গিরা গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, ১ জুলাই জঙ্গিহানায় ওই অত্যাধুনিক বন্দুক ব্যবহার করেই ২০ জন পণবন্দিকে হত্যা করা হয়েছিল। আর এই হামলার নীল নকশা তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে। পাকিস্তান থেকেই বন্দুক নির্মাতারা মালদহে আসে। মুঙ্গেরের বন্দুক প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেয় তারা। তারপর মালদহের গোপন ডেরায় রাইফেল বানিয়ে পাচার করা হয় বাংলাদেশে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক ধারণা, পাকিস্তানের ওই অস্ত্রি নির্মাতারা তালিবানি জঙ্গিদের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে।
গুলশন হামলার পর পরই বাংলাদাশের তরফে দাবি করা হয়েছিল ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র মুঙ্গের থেকে এসেছে। তারপর মুঙ্গেরের যোগসূত্র নিয়ে তদন্তও শুরু করে বিহার পুলিশ। সেখানকার তদন্তকারীরা জানান, অস্ত্রশস্ত্র তৈরি ও পাচারের কাজ পশ্চিমবঙ্গে বসে হয়েছিল।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন তদন্তকারীরা। কারণ, পাকিস্তানের এই অস্ত্র নির্মাতারা বাংলায় এসে জঙ্গিহানার অস্ত্র তৈরি করে দিয়ে গেল, তা এই রাজ্যের পক্ষেও নিরাপদ নয়। যে কোনও দিন বড়সড় হামলা হতে পারে এ রাজ্যেও। সত্যিই যদি এই ছক হয়ে থাকে, তা রাজ্যের কাছে বিপদ সঙ্কেত।