বৌভাতের মেনুকার্ডে জায়গা পেল নাগরিকত্ব আইন, কৌতুহল রায়গঞ্জে
বৌভাতের মেনুকার্ডে জায়গা পেল নাগরিকত্ব আইন, কৌতুহল রায়গঞ্জে
কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইনে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন বিজেপি নেতা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমনি একটি ঘটনা চোখে পড়ল বিয়ে বাড়ির মেনু কার্ডের নীচে "নাগরিকত্ব আইনকে স্বাগতম" বলে প্রচার করছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা।
পার্থ ভৌমিক নামে রায়গঞ্জের এক বিজেপি কর্মী তার বৌভাতের মেনুতে নাগরিকত্ব আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। এরপরই হৈ চৈ শুরু হয়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। সিটিজেন অ্যামান্ডমেন্ড আইন সমর্থন বিয়ে বাড়ির মেনুকার্ডকে হাতিয়ার করায় বিজেপির দিন ফুরিয়ে আসছে বলে মত দিয়েছেন জেলার তৃনমূল নেতৃত্ব। তবে মেনুকার্ডে " নাগরিকত্ব আইন স্বাগতম "এই লেখা দেখে বিষয়টি নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে বৌভাতে আগত নিমন্ত্রিতদের মধ্যে।
সি এ এ, এন আর সি ও এম পি আর নিয়ে সারা দেশজুড়ে আন্দলনে নেমেছে বিরোধীরা। নো এন আর সি, নো সি এ এ এবং নো এম পি আর এই আন্দোলনে উত্তাল বাংলা। সিটিজেন অ্যামান্ডমেন্ড আইনের সমর্থন পেতে মরিয়া বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রী।
জেলায় জেলায় প্রচারে পাঠালেও সাধারন মানুষের সমর্থন মিলছেনা। বিশেষ করে বাংলার মানুষ সি এ এ এবং এন আর সি'র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। হালে পানি না পেয়ে বিজেপি সস্তার রাজনীতি করছে। বিজেপি কর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠান প্রচার। রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী পার্থ ভৌমিকের বৌভাতের মেনুকার্ডে সবশেষে লেখা " নাগরিকত্ব আইন স্বাগতম"।
মানুষ যে সি এ এ সমর্থন করছে এটাই তার অন্যতম প্রমান বলে জানালেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার বিয়ে বাড়ির বৌভাতে মেনুকার্ডে নাগরিকত্ব আইন স্বাগতম বিজেপির এই প্রচারকে কটাক্ষ করে জানান, বিজেপির প্রতি মানুষের সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে। এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতারাই ধন্দে পড়ে গিয়েছেন। সি এ এ লাগু হওয়ার পর যেখানেই ভোট হয়েছে বিজেপির একের পর এক হার হয়েছে। বিয়ে বাড়ির কার্ডে লিখলেও বাংলার মানুষ এই আইনকে সমর্থন করবেন না। এটাতে বিজেপির আসলে দৈন্যদশাই ফুটে উঠেছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।