মন্তেশ্বর-তমলুক-কোচবিহার, উপনির্বাচনে তিনে তিন তৃণমূলের
রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই বিপুল ভোটে জয়ী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। চতুর্মুখী লড়াই কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি তৃণমূলের জয়ের ধারায়।
কলকাতা, ২২ নভেম্বর : রাজ্যে অব্যাহত সবুজ ঝড়। তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই বিপুল জয় পেল রাজ্যের শাসক দল। বিরোধীদের উড়িয়ে কোচবিহার ও তমলুক লোকসভা এবং মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে রেকর্ড জয় তুলে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। ধূলিসাৎ হয়ে গেল বামফ্রন্ট। দ্বিতীয় দল হিসেবে রাজ্য উত্থানের ইঙ্গিত দিল বিজেপি।
এই জয়ের পর রাজ্যের মানুষের ধন্যবাদ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি রওনার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, নির্বাচনে মানুষের রায় জনবিদ্রোহ, গণবিদ্রোহ। নোট বাতিলের বিরুদ্ধে মানুষ এই রায় দিয়েছেন। ভোটের ফলাফলেই প্রমাণিত মানুষ এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। কেন্দ্রীয় সরকার চলছে হিটলারি কায়দায়। কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এবার মানুষকে রিলিফ দেওয়া উচিত নোট দুর্ভোগ থেকে।
রাজ্যে তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলই যে জিতবে, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। শুধু জয়ের মাপকাঠি কী হয়, তা নিয়েই যত আগ্রহ ছিল মানুষের। ভোটের ফলাফল বের হতেই সব রেকর্ড ভেঙে খানখান। তমলুকে তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারীর জয়ের মার্জিন ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫২৮।
দাদা শুভেন্দুর মার্জিনকেও ছাপিয়ে গেলেন ভাই দিব্যেন্দু। শুধু কি ছাপিয়ে যাওয়া, একেবারে দাদার দ্বিগুণ মার্জিন। ভাবতে পারেননি নিজেও। এমনকী শুভেন্দুও বুঝে উঠতে পারেননি ব্যবধানটা ওই জায়গায় পৌঁছতে পারে।
কোচবিহারেও চার লক্ষাধিক ভোটে জয় পেল তৃণমূল। পার্থপ্রতিম রায় বিজেপি প্রার্থী কে হারালেন ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪১ ভোটে। এখানে ফরওয়ার্ড ব্লকের মিথ ভেঙে বিজেপি দ্বিতীয়। এক ধাক্কায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থনেই এই বিপুল ভোটপ্রাপ্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আর মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে ব্যবধান ছিল মাত্র ৭০০। এক লাফে সেই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার। বাংলায় যা রেকর্ড। সবথেকে বেশি ব্যবধানে জয়ী বিধায়ক এখন মন্তেশ্বরের সৈকত পাঁজা। এদিন সকাল থেকেই ইভিএম খোলা হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে তৃমমূল প্রার্থীর মার্জিন। এই কেন্দ্রে ভোটের দিনেই নাম প্রত্যাহার করে নেন কংগ্রেস প্রার্থী। আর এদিন সকালেই বাম এজেন্ট বয়কট করেন ভোট গণনা। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় তৃণমূল প্রার্থীর জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তা বলে যে এরকম জয় পাবেন সৈকত, ভাবেননি নিজেও।
মন্তেশ্বরে
প্রথমের
দিকে
দ্বিতীয়
স্থানে
ছিল
বিজেপি।
এই
কেন্দ্রেও
দ্বিতীয়
স্থান
নিয়ে
লড়াই
জমে
ওঠে
সিপিএমের
গণি
সরকার
ও
বিজেপি
প্রার্থী
বিশ্বজিৎ
পোদ্দারের।
এই
কেন্দ্রে
ভোট
বাড়াতে
সমর্থ
হল
বিজেপি।
ভোটে
জিতে
বাবার
অপূর্ণ
কাজ
শেষ
করার
কথা
জানালেন
বিজয়ী
তৃণমূল
প্রার্থী
সৈকত
পাঁজা।