বাংলার ফের উপনির্বাচনের বাদ্যি বাজতে চলেছে, কবে হতে পারে সুব্রত-বাবুলের কেন্দ্রে ভোট
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সঙ্গে এ রাজ্যেও হয়ে যেতে পারে দুটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এমনই সম্ভাবনার কথা জানাল নির্বাচন কমিশন।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সঙ্গে এ রাজ্যেও হয়ে যেতে পারে দুটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এমনই সম্ভাবনার কথা জানাল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের শেষ দফায় বাংলার একটি লোকসভা ও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হতে পারে।
রাজ্যে পুরভোট ছিল ২২ জানুয়ারি। কিন্তু তা পিছিয়ে গিয়েছে তিন সপ্তাহ। করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে দেওয়ার সমীচিন বলে মনে করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই ফেব্রুয়ারিতে চলে গিয়েছে পুরভোট। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে চার পুরনিগমে। তারপর বাকি পুরসভার ভোটও হতে পারে ফেব্রুয়ারিতেই।
পুরসভা ভোটের ঝামেলা মিটলেই বাংলার দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের বাদ্যি বেজে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জাতীয় নির্বাচন কমিশন চাইছে মার্চের মধ্যেই বাংলার দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করে দিতে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যেতে পারে। মার্চেই ভোট হয়ে যাবে দুই কেন্দ্রে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁকা রয়েছে। এবং বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর লোকসভা কেন্দ্র অর্থাৎ আসানসোল কেন্দ্রটিও ফাঁকা। এই দুই কেন্দ্রে ভোট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ৭ মার্চ। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার নির্বাচনের দিনেই এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন চাইছে মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই বাংলার আসানসোল ও বালিগঞ্জ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সেরে নিতে। দুটি নির্বাচনই একসঙ্গে করতে চায় নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হল রাজ্যের পুরভোট। রাজ্যে বাকি পুরভোট যদি ফেব্রুয়ারির শেষে হয়, তখন ৭ মার্চ বা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে উপনির্বাচন। অর্থাৎ বছর শেষে ভোটাভুটির মধ্য দিয়েই কাটবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বাংলায় দু-দফায় উপনির্বাচন হয়েছে। মোট পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দুটি কেন্দ্রে বকেয়া নির্বাচন সংঘটিত হয় বাংলায়। তারপর কলকাতা পুরসভার নির্বাচনও সম্প্রতি হল। এরপর ২২ জানুয়ারি ছিল আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর কেন্দ্রের পুরসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন সপ্তাহ। ১২ ফেব্রুয়ারি সেই ভোট হবে।
তারপরও শতাধিক পুরসভার ভোট বাকি থাকবে বাংলায়। তা ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে করার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখন আবার উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেলে, তা কবে হয় সেটাই দেখার। পূর্বঘোষণা মতো ফেব্রুয়ারির শেষেই হয় নাকি উপনির্বাচনের পরে মার্চের শেষে তা চলে যায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।