করোনা পরিস্থিতিতে ভাড়া না বাড়িয়ে 'বিকল্প ব্যবস্থা' অনুসরণের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি বাস মালিকদের
করোনা পরিস্থিতিতে ভাড়া না বাড়িয়ে 'বিকল্প ব্যবস্থা' অনুসরণের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি বাস মালিকদের
বেসরকারি বাসের আসন কোনও সময়ই ভর্তি থাকছে না। তার ওপরে বাড়ছে জ্বালানির দাম। এই পরিস্থিতিতে রুটি-রুজি নিয়ে সমস্যায় বাস মালিক (bus owners) থেকে বাস-কর্মী সকলেই। তবে এই মুহূর্তে তারা বাসের ভাড়া (fare) বৃদ্ধির দাবি তুলছেন না। বিকল্প ব্যবস্থা অনুসরণ করলে তাদের সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন বাস মালিকরা। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) চিঠিও দিয়েছেন তারা।
ভাড়াবৃদ্ধি উপায় নয়
গতবছরে লকডাউনের পরে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করেছিল বাস-মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। সেই মতো ভাড়া বৃদ্ধিও হয়। তারপর থেকে জ্বালানির মূল্য বেড়েছে অনেকটাই। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক না হলেও বাসে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের আঘাত। টালমাটাল পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে গণপরিবহণ ব্যবস্থা। সেই পরিস্থিতিতে ভাড়া বৃদ্ধি কাজের নয় বলেই মনে করেছে বাস মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তারা বলছেন কৃষিক্ষেত্রের পরে পরিবহণ ক্ষেত্রে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীর সংখ্যা সব থেকে বেশি।
কাজ হারিয়ে ভিন্ন পেশা
করোনা পরিস্থিতিতে যেমন বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, তেমনই বিভিন্ন জায়গায় সংসার সামলাতে বাসকর্মীরা সবজি বিক্রিতেও সামিল হয়েছেন। অনেকের আবার সেই সম্বল টুকুও নেই।
জ্বালানিকে জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
বাসমালিক
সংগঠনগুলির
দাবি
জ্বালানিকে
জিএসটির
অন্তর্ভুক্ত
করতে
হবে।
তবে
তাদের
এই
দাবিকে
সমর্থন
করতে
মুখ্যমন্ত্রীর
কাছে
আবেদন
জানানা
হয়েছে।
মূলত
তারা
জ্বালানিকে
জিএসটির
অন্তর্ভুক্ত
করতে
কেন্দ্রের
ওপরে
চাপ
বাড়াতে
চাইছে।
তারা
মনে
করছেন,
যদি
জিএসটির
অন্তর্ভুক্ত
হয়,
তাহলে
জ্বালানির
দাম
অনেকটাই
কমে
যাবে।
এই
দাবির
সমর্থনে
১৭
মে
গান্ধীমূর্তির
পাদদেশে
ধরনায়
বসার
পরিকল্পনা
করেছে
বাসমালিকদের
সংগঠনগুলি।
তবে
অনেক
রাজ্য
সরকারই
চায়
না
জ্বালানি
জিএসটির
অন্তর্ভুক্ত
হোক।
কেননা
তা
হলে
রাজ্য
সরকারগুলির
রাজস্ব
আয়
অনেকটাই
কমে
যাবে।
সেই
পরিস্থিতিতে
মুখ্যমন্ত্রী
বাসমালিকদের
আবেদনে
সাড়া
দেন
কিনা
সেটাই
দেখার।
মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
রাজ্যে টিকাদানের তৃতীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় রাখা হয়েছে পরিবহণের কর্মীদের। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বাসমালিকদের সংগঠন।