খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা আদালতের
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করলেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক সিদ্ধার্ত কাঞ্জিলাল।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করলেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক সিদ্ধার্ত কাঞ্জিলাল। অভিযুক্ত গুলশান আরা বিবি, ওয়ালিমা বিবির ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং রেজাউল করিম, আব্দুল হাকিমের আট বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ রহমত উল্লাহ শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ রুমেলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সকলকেই কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছেন বিচারক।
২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেবছর ওই ঘটনার দিন ছিল দুর্গাপুজোর অষ্টমী। পুজোর সময়ে রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বভাবতই এলাকায় তৈরি হয় শোরগোল। সেই বিস্ফোরণে সাকিল আহমেদ এবং শোভন মণ্ডল নামে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বর্ধমান জেলা পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামলে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপর ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ, পরে সিআইডি। এরপর তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা এনআইএয়ের হাতে। এরপর গ্রেফতার হয় ৩১ জন।
২০১৫র ৩০ মার্চ প্রথম চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে। এরপর ধাপে ধাপে তিনটি সাপ্লিমেন্ট পেশ করা হয়। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী কার্যকলাপ-এর পাশাপাশি যুদ্ধ ঘোষণা ২০১৫র ২৩ জুলাই, ২০১৬র ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং ২০১৬র ২১মে।
তাদের বিরুদ্ধে বেআইনী অস্ত্র মজুত রাখা, দেশদ্রোহীতা, ও দেশ বিরোধী কার্যকলাপের একাধিক অভিযোগ ছিল। কারণ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আরডিএক্স, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভি ডিভাইস, জিহাদী কাগজপত্র, স্যাটেলাইট ফোন, এবং একাধিক সিমকার্ড উদ্ধার করেছিল।
[আরও পড়ুন: মমতাকে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন মুকুল! বিধানসভায় যোগদান-'প্রস্তাব' নিয়ে জল্পনা]
শুধু তাই নয়, এনআইএ জানায়, ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বসেই বাংলাদেশের অশান্তির ছক কষছিল তারা। এরপর এনআইএ-র গোয়েন্দারা তদন্ত চালিয়ে সন্দেহভাজন ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
[আরও পড়ুন: ২৭ থেকে কমে ১২-তে দাঁড়াল রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সংখ্যা, কে মিশছে কার সঙ্গে]