বর্ধমান বিস্ফোরণে অভিযুক্তর সঙ্গে এসএসবি জওয়ানের যোগ, গ্রেফতার
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্ধমান কাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আমজাদকে দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই এসএসবি কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সোমবার আমজাদ আলি শেখের গ্রেফতারের পরই এই তথ্যটি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন : বর্ধমান কাণ্ডে আর একটি বড় সাফল্য, এনআইএ-র জালে আমজাদ শেখ
বর্ধমান বিস্ফোরণের পর আমজাদকে আশ্রয় দিয়েছিল এই এসএসবি কনস্টেবল
আমজাদ আলি শেখ বর্ধমান কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। এই আমজাদ এনআইএ-র জেরার মুখে পড়ে এই এসএসবি কনস্টেবলের নাম নিয়েছিল। আমজাদ এও জানিয়েছিল, ২ অক্টোবর বর্ধমান বিস্ফোরণের পরই এ রাজ্য ছেড়ে পালায় আমজাদ। সেখান থেকে ৮ অক্টোবর দিল্লিতে পৌছয় সে। রাজধানীতে এই কনস্টেবলের সাহায্য নেয় সে। অভিযুক্ত কনস্টেবল আমজাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসার আগে প্রায় সপ্তাহ খানের দিল্লিতে ছিল আমজাদ। আমজাদ ও কনস্টেবলের মধ্যে নৈকট্য প্রমাণ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এনআইএ। তদন্তে এটা উঠে এসেছে যে হয়ত আমজাদ এই কনস্টেবলকে বিগত কয়েক বছর ধরে চেনে।
বর্ধমান ছাড়াও জেএমবি-র অন্যান্য মডিউল
ইতিমধ্যে সাজিদ আলিকে জেরা করে এনআইএ জানতে পেরেছে সাজিদের স্ত্রী ফতিমা ভারতীয়। ওডিশায় মহিলা কর্মীদের নিয়ে মডিউল তৈরিতে ন্যস্ত ছিল ফতিমা। শুধু ফতিমা নয়, জেএমবি-র বর্ধমান মডিউলের সদস্যদের প্রত্যেকের স্ত্রীরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
জেরাতে সাজিদ জানিয়েছে, মহিলাদের উপর কারও অত সন্দেহ যেত না। সেই কারণে মহিলারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারত। তাদের কাজই ছিল জিহাদী এই কার্যকলাপে আরও বেশি নতুন সদস্য নিয়ে আসা। এর পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদের মধু জালে ফাঁসিয়ে তাদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বার করা এবং সাহায্য নেওয়া।
এর পাশাপাশি এনআইএ সাজিদকে এও জানিয়েছে যে, "পশ্চিমবঙ্গে বড় পরিসরে কাজ শুরু করেছিল জেএমবি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম অন্যান্য রাজ্যেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করা যেত। মজলিস-এ-সুরাহা এবং জামাতের কেন্দ্রীয় কমিটি বারবার একথাই জানিয়েছে যে আমরা একটা সেনা বাহিনী গঠন করতে চাইছি, কোনও জঙ্গী গোষ্ঠী নয়। আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেনাবাহিনীর কার্যপদ্ধতি অবলম্বন করতে।"