বুলবুলের তাণ্ডবে হুগলি নদীর গ্রাসে প্রায় এক হাজার বিঘা কৃষিজমি
নদীয়ার শান্তিপুরে প্রায় এক হাজার বিঘা কৃষিজমি তলিয়ে গেল হুগলি নদীতে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুরে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি তছনছ করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এবার শান্তিপুরের এই ধ্বসের জন্য বুলবলকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত মাসেই শান্তিপুরের চৌধুরিপাড়ায় নদী বক্ষে প্রথম ভাঙন দেখা দেয়। তারপরই সেচ দফতরের দ্বারা বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। ক্ষয় বাড়তে বাড়তে নিকটবর্তী জনবসতি থেকে নদীর দূরত্ব বর্তমানে ১০০ মিটারেরও কম। ভিটে মাটি হারানোর ভয়ে বর্তমানে রাত ঘুম উড়েছে চৌধুরিপাড়ার প্রায় ২০০ পরিবারের।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বীরেশ্বর চৌধুরী বলেন “ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোয়ারের ঢেউর বৃদ্ধির ফলে ক্ষয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকে। নদীর পাড় সংলগ্ন শুকনো জমিতেও ফাটল দেখতে পাই আমরা। কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই প্রায় ১০০০ বিঘা কৃষিজমি নদীবক্ষে তলিয়ে যায়।”
ওই এলাকার বেশিরভাগ পরিবারের সদস্যরাই কৃষিকাজ বা সবজি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। বুলবুলের তাণ্ডবে হঠাত্ এই ধস বর্তমানে ওই এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারকেই রুটি রুজির সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে মত সকলের। অন্যদিকে ইটভাটার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে নদীবক্ষ থেকে মাটি তুলে পাচার করা হত বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক স্থানীয় বাসিন্দাই। ধসের অন্যতম কারণ হিসাবে মাটি পাচারের জন্য মাফিয়া চক্রকেও দায়ী মনে করছেন অনেকে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শান্তিপুরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার সুমন দেবনাথ।