সংকট মুক্ত বুদ্ধদেব! খুব শীঘ্রই বাড়ি পাঠানোর ভাবনা চিকিৎসকদের
আপাতত সংকট মুক্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর যাবতীয় রিপোর্ট সন্তোষজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার না হলে মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দেওয়ার পাশাপাশি সকলের সঙ্গে কথা বলছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এদিন তাঁর ফিজিওথেরাপি শুরু করা হয়েছে। ক্যাথিটার সরিয়ে নেওয়া হতে পারে শনিবার। পরবর্তী কালে রাইলস টিউবও সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি
এদিন বেলা এগারোটার মেডিকেল বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাঁকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। দেহের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ শতাংশ। আগেই তাঁর ঘুমের ওষুধ বন্ধ করা হয়েছিল। গতরাতে ভাল ঘুম হয়েছে তাঁর। ব্লাড প্রেসার ও পালস স্টেবল। তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৮.৮, টোটাল কাউন্ট ৯৬০০, ইউরিয়া ৫৮.১৫, ক্রিয়েটিনিন ১.১, সোডিয়াম ১৩৩, পটাশিয়াম ৪.৩, সিআরপি ৯.২, বিলিরুবিন ০.৪, অ্যালবুমিন ৩.৪।
এই মুহুর্তে ইন্ট্রাভেনাস অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েড চলছে।

হাসপাতালে বিশদিন থাকলে সেকেন্ডারি ইনফেকশনের সম্ভাবনা
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বয়স ৭৬। রয়েছে একাধিক কোমর্বিডিটি। যার জেরে বেশিদিন হাসপাতালে থাকলে সেকেন্ডারি ইনফেকশনের সম্ভাবনা। সেই কারণে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমান শারীরিক অবস্থা যদি বজায় থাকে তাহলে সোমবার না হলে মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন চিকিৎসকরা।

সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ায় বুধবার হাসপাতালে ভর্তি
বুধবার সকালে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পর বাড়িতেই তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন। দুপুর ২.২০-তে তাঁকে উডসল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ক্রিটিকাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে পালমনোলজিস্ট চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তীর অধীনে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় সেদিনই। সেই সময় তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছিল ৭০-এ। কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে ১৩১ হয়ে গিয়েছিল। সেদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মেকানিকাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং বিমান বসু, সূর্ষকান্ত মিশ্রের মতো সিপিএম নেতারা। শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
কৃষি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল! প্রতিবাদী কৃষকদের কোন বার্তা মোদীর