
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের উপর হামলা, নিহত এক চোরাকারবারি
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পাচারকারী নিহত হয়েছেন। রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী এবাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিএসএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ফেনসিডিল পাচার করার সময় একদল চোরাকারবারি জওয়ানের উপর হামলা চালায়। তারপর বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। গুলি বিনিময়ে একজন পাচারকারী নিহত হয়।

রবিবার সকালে ১৪১ ব্যাটালিয়নের বর্ডার আউট পোস্ট সাগরপাড়া এলাকায় তখন টহল দিচ্ছিল বিএসএফ-এর একটি দল। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে ওই এলাকায় চোরা চালানের খবর ছিল। নির্ভরযোগ্য সেই খবরের ফলেই বিএসএফ সন্দেহজনক কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক ছিল। ভোর তিনটে নাগাদ বিএসএশ জওয়ানরা ওই এলাকায় ১০-১৫ জন চোরাকারবারীর গতিবিধি লক্ষ্য করে। সঙ্গে সঙ্গে টহলরহ সমস্ত সদস্যকে খবর দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে চোরাকারবারীরা পাথর এবং ধারযুক্ত অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের উপর আক্রমণ করে। জওয়ানরাও পাল্টা দেয়। দু-পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ।
বিএসএফ জওয়ানরা প্রথমে চোরাকারবারিদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যখন এটির কোন প্রভাব ছিল না। তখন তিনি আত্মরক্ষায় তার ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হন। একথা জানিয়েছেন বিএসএফের এক অফিসার। এরপর চোরাকারবারিরা এতটাই সাংঘাতিক আক্রমণ শানাতে থাকে যে, বাধ্য হয়েই বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালাতে শুরু করে।
বিএসএফের কাউন্টার অ্যাটাকে একজন চোরাকারবারীর গায়ে গুলি লাগে। সে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে, অন্য চোরাকারবারীরা তাদের আহত সহযোগীকে ফেলে রেখে গা ঢাকা দেয়। তারপর বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই চোরাচালানকারী নিহত হয়েছে। বিএসএফ আরও জানিয়েছে, পাচারকারীদের কাছ থেকে ৫৩২ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিহত পাচারকারীর নাম রোহিল মণ্ডল। সে ভারতীয় নাগরিক এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায়শই এমন ধরনের চোরাচালানের ঘটনা ঘটতে থাকে। বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার মতো ভুল সাধারণত চোরাচালানকারীরা করে না। এদিন তারা পরিকল্পনা করেই এসেছিল বলে বিএসএফের অনুমান। তা না হলে প্রথমে যখন বিএসএফ চেষ্টা করছিল চোরা কারবারিদের হটিয়ে দিতে, তারা সেই সুযোগ নিয়ে পালায়নি। তারা বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যায়। চোরা কারাবারিদের নাছোড়বান্দা মনোভাবের কারণেই বিএসএফ পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় এক পাচারকারীর। অন্যরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।