সীমান্তে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিনব উদ্যোগ বিএসএফের
সীমান্তে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিনব উদ্যোগ বিএসএফের
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের শাঁকচূড়া-বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাদানা ফুটবল মাঠে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অভিনব উদ্যোগ নিল ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের দশটি প্রাইমারি স্কুল ও বেশ কয়েকটি হাই স্কুল, শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের প্রায় হাজার খানেক ছাত্রছাত্রী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে এই অভিনব উদ্যোগ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের মেলবন্ধন তৈরি করতে অভিনব এই উদ্যোগ।
সীমান্তবাসীদের দৈনন্দিন জীবনে যেগুলো লাগবে বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কয়েকশো মশারি প্রদান ও আসবাবপত্র জিনিস, খেলার সরঞ্জাম, ছাত্র-ছাত্রীদের বই-খাতা-পেন, শীতের কম্বলের মতো জিনিস তাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো। ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে এক কর্মশালার উদ্যোগ নিল সোনাদানা ফুটবল মাঠের খোলা মঞ্চে। বিশেষ করে গত বছর যেভাবে ডেঙ্গু মহামারীর আকার ধারণ করেছিল সেটাকে প্রতিরোধ করতে ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছে। বছর জুড়েই সেটাকে এগিয়ে নিতে এবার এগিয়ে আসলো কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ৮৫ নম্বর আলফা কোম্পানির মূল উদ্যোক্তা ডিআইজি অনিল কুমার ঠাকুর। এছাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোলাম মোস্তফা, বিশিষ্ট সমাজসেবী শম্ভু পাল ও শেখ শরিফুলে, হোসেন মোল্লার একান্ত প্রচেষ্টায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সীমান্তের মানুষকে যেমন সচেতন করা অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝোনো তাদেরকে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা না ফেলে স্বচ্ছতা রাখার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্লাব সংগঠনগুলিকে লাগাতার কর্মসূচি নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো, পাশাপাশি বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখা স্বচ্ছ রাখার জন্য সব রকম ভাবে এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে মানুষকে সচেনতার বার্তা দেওয়া হয়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি প্রদানের পাশাপাশি ব্লিচিং পাউডার, মশা মারার তেল সবরকম দেঝয়া হয়। এই কর্মসূচি ২০২০ সালে লাগাতার চলবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের আধিকারিকরা।