আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির সম্পর্ক কি? প্রশ্ন তুলে ব্রাত্য বললেন, চাকরি তো যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে
আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির সম্পর্ক কি? প্রশ্ন তুলে ব্রাত্য বললেন, চাকরি তো যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে
সামনেই টেট পরীক্ষা! আর সেই পরীক্ষার আগে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ইতিমধ্যে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্নরা। এমনকি বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২০১৭ সালের চাকরি প্রার্থীরা। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। যদিও এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু কথা বলবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসু স্পষ্ট বার্তা, আন্দোলন করলেই সবাইকে চাকরি দিতে হবে? এটা হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাত্য বসুর। তাঁর মতে, চাকরি তো যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে।
নেগেটিভিটির জন্ম হয়
বিগত কয়েকমাস ধরে টানা চলছে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ-আন্দলন। আজ সোমবার এই বিষয়ে কথা বলেন ব্রাত্য বসু। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, নেট পাস করে সবাই চাকরি পায়? এমনকি জয়েন্ট পাশ করে সবাই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ পায় না বলেও কার্যত ইন্তিত শিক্ষামন্ত্রীর। তবে নিয়োগ নিয়ে সমস্যা হলে কিংবা আন্দোলন, মামলা হলে নেগেটিভিটির জন্ম হয় বলে মন্তব্য তাঁর। এমনকি সরকারের এই বিষয়ে কাজ করা মুসকিল বলেও দাবি তাঁর।
বিরোধীরা চাইছেন না যে অধিকাংশরা চাকরি পান।
তবে ফের একবার এই বিরোধীদের আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু। বলেন, বিরোধীরা চাইছেন না যে অধিকাংশরা চাকরি পান। এই বিষয়ে বিরোধীদের রাজনৈতিক মঞ্চে যাওয়া নিয়েও কার্যত কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য এই নিয়োগ করতে চলেছে সরকার। তবে এই বিষয়ে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলা হচ্ছে। যা নিয়ে নত্ন করে অস্বস্তি বাড়ছে। আর সেখানে দাঁড়িয়েই এমন বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
টেট নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে
বলে রাখা প্রয়োজন ইতিমধ্যে টেট নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার এই নিয়োগ সমস্ত মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি এবার কারোর সুপারিশ মানা হবে না বলে একাধিকবার জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। এমনকি সবাইকেই এই পরীক্ষাতে বসার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্ত্য এরপরেই লাগাতার আনব্দলন চালিয়ে যাচ্ছেন যোগ্য প্রার্থীরা। তবে সবশেষে ব্রাত্য বসু বলেন, এমন কাজ করলে আগামী প্রজন্মকে আমরা কি উত্তর দেব?
ইনসাফ চাই! ডিওয়াইএফআইয়ের এসপি অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে বহরমপুরে ধুন্ধুমার