উপনির্বাচন: বনগাঁ, কৃষ্ণগঞ্জে বিপুল ব্যবধানে জয়ী তৃণমূল
কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: সারদা-কাণ্ড, টেট কেলেঙ্কারি কিছুই ভাঙন ধরাতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে। বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা আসনে জয়ী হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কৃষ্ণগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। আর বনগাঁতে তারা তৃতীয় স্থান দখল করেছে। এই জয়কে 'কুৎসার বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব' বলে বর্ণনা করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা মা-মাটি-মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ।"
কৃষ্ণগঞ্জ
বিধানসভা
আসনে
তৃণমূলের
সত্যজিৎ
বিশ্বাস
তাঁর
নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী
তথা
বিজেপি
প্রার্থী
মানবেন্দ্র
বিশ্বাসকে
হারিয়ে
দিয়েছেন।
জয়ের
ব্যবধান
৩৭,০০৩৩
টি
ভোট।
এখানে
তৃতীয়
ও
চতুর্থ
স্থান
দখল
করেছে
যথাক্রমে
সিপিএম
ও
কংগ্রেস।
লক্ষণীয়
বিষয়
হল,
কৃষ্ণগঞ্জে
২০১১
সালের
বিধানসভা
ভোটে
সিপিএম
৭৫
হাজার
ভোট
পেয়েছিল।
এ
বারের
উপনির্বাচনে
তা
কমে
দাঁড়াল
৩৭
হাজার
ভোট।
কৃষ্ণগঞ্জে
২০১১
সালের
বিধানসভা
ভোটে
বিজেপি
যেখানে
৩
হাজার
ভোট
পেয়েছিল,
এ
বার
তারা
তা
বাড়িয়ে
নিয়েছে।
তারা
পেয়েছে
৫৮
হাজার
ভোট।
অন্যদিকে, বনগাঁ লোকসভা আসনেও জিতেছে তৃণমূল। ঘাসফুল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর ২ লক্ষ ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫,৬৯,৯৯০টি ভোট। শতকরা হারে ৪৩ শতাংশ। মমতাবালা ঠাকুর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের দেবেশ দাসকে হারিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুর তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছেন।
বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা আসনে ভোটগণনা শুরু হওয়ার পরপরই টক্কর দিতে শুরু করে বিজেপি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা পিছিয়ে যেতে শুরু করে। গতবার দু'টি আসনই পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই হিসাবে কৃষ্ণগঞ্জ আসনটি তারা ধরে রাখল।