এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বোমাবাজি ভাঙচুরে উত্তেজনা এলাকায়
এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বোমাবাজি ভাঙচুরে উত্তেজনা এলাকায়
২০২১ সালের আগেই বেরিয়ে পড়ল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া বাজারে। দুই পক্ষের ব্যাপক বোমাবাজি ভাঙচুরের ঘটনায় গুরুতর জখম চার জন। হয়তো আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে হাসনাবাদ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাত থেকে। দীর্ঘদিন ধরেই একটি চাপা উত্তেজনা ছিল হাসনাবাদ ব্লকের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এলাকার দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে আসে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৌরেন্দ্রনাথ পাল ও তৃণমূলের কর্মী মোজাফফর গাজীকে গতকাল রাতের অন্ধকারে কিছু দুষ্কৃতী দোকানে ঢুকে ভাঙচুর মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। শুক্রবার তারই পাল্টা মারধরের অভিযোগে অন্যপক্ষের দুজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়। সব মিলিয়ে উভয়পক্ষের ৪ জন জখম হয়েছে। ঘটনাস্থলে চলছে পুলিশি টহল। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে গোটা এলাকায়।
তৃণমূল নেতা সৌরেন্দ্রনাথ পালের অভিযোগ, এখানকার কিছু দুষ্কৃতী দোকানে এসে ভাঙচুর চালায় সিসিটিভি ভেঙে দেয়। পাশাপাশি, মারধর করে বলে অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগ অপর পক্ষেরও।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উড়িয়ে দিয়ে এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শিক্ষা কর্মদক্ষ ফিরোজ কামাল গাজী জানান, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওদের দেখা যায়নি। তাঁরা এখন নতুন করে তৃণমূল করার চেষ্টা করছেন। ভেবিয়া বাজার এলাকায় জোর করে তোলাবাজি ভয় দেখাচ্ছেন। ওখানকার সাধারণ মানুষ রুখে দিয়েছে এটা তৃণমূলে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়।'
দুই পক্ষই হাসনাবাদ থানা অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে হাসনাবাদ থানায়। অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে এইরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের পক্ষে যথেষ্ট খারাপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলে মোহভঙ্গ! ন-মাসেই ভোলবদলে বিজেপিতে যোগ প্রধানের, পঞ্চায়েতের হাতবদল