খড়ের গাদার মধ্যে ব্যাগ ভর্তি বোমা, সাত সকালে ফের আতঙ্ক কুলপিতে
খড়ের গাদার মধ্যে ব্যাগ ভর্তি বোমা, সাত সকালে ফের আতঙ্ক কুলপিতে
ফের বোমা উদ্ধার কুলপিতে। শীতের ভোরে উঠে গ্রামবাসীরা দেখেন জমিতে খড়ের গাদার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে ব্যাগ ভর্তি বোমা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন পুলিশকে। কুলপি থানার পুলিশ গিয়ে বোমা উদ্ধার করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কুলপিতে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার বোমা ভর্তি ব্যাগ দেখতে গিয়ে আহত হয়েছিল দুই কিশোর। তার পরের দিন ফের বোমা উদ্ধার হয়। সোমবার ২৪টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে কুলপি থেকে। তারপর আবারও মঙ্গলবার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ফের বোমা উদ্ধার কুলপিতে
বারুদের স্তুপে যেন পরিণত হয়েছে কুলপি। শীতের ভোটে জমির মধ্যে খড়ের গাদায় পড়ে ছিল ২ ব্যাগ ভর্তি বোমা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশকর্মীকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে। বম্ব স্কোয়াড গিয়ে বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করবে। আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে চলেছে কুলপিতে। গত বৃহস্পতিবার বোমা রাখা ব্যাগ দেখতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হয়েছে ২ কিশোর। গতকালও কুলপিতে ২৪টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।
কুলপিতে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কুলপিতে একের পর এক বোমা গুলি উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কুলপিতে কালভার্টে নীচে রাখা ব্যাগ দেখে সেটা খুলতে যায় ২ কিশোর। তাই করতে গিয়েই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে তাতে। ২ কিশোর আহত হয়েছে তাতে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরে ফের বোমা উদ্ধার হয়েছে দফায় দফায় কুলপিতে। অশান্তি থামাতে শেষে শান্তিরক্ষা কমিটি গড়ে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছে পুলিশ।
কেশপুরে বোমা উদ্ধার
শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে নয় বোমা উদ্ধার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও। সেখানেও একের পর এক বোমা উদ্ধার হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর হাত। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কেশপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তার কয়েক দিন আগে বীরভূমের নলহাটিতে গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পা উড়ে গিয়েছিল। আরেক কিশোর গুরুতর জখম হয়েছিল।
বারুদের স্তূপে রাজ্য
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলায় জেলায় নাকা তল্লাশি চালাতে। বাইরের রাজ্য থেকে অস্ত্র-বোমা আসছে রাজ্যে। পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তারপরেই তৎপর হয় পুলিশ। তার উপরে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেলায় জেলায় একের পর এক বোমা গুলি উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিরোধীরা সরব হয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন জিততে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।