করোনার লকডাউনের মাঝেই বসিরহাটে রক্তদান শিবির
করোনার লকডাউনের মাঝেই বসিরহাটে রক্তদান শিবির
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঘর থেকে বেরো বারণ প্রশাসনের। গোটা রাজ্য তথা দেশেই জারি রয়েছে লক ডাউন। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচাতে রক্ত দিলেন ৩৫ জন রক্তদাতা। অসুস্থ সংকটজনক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রক্তদান করার জন্য এগিয়ে এলেন তারা।
এই চরম বিপদের মুখে তাদেরকে পাশে পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। রক্তের কোন ধর্ম হয় না। রামের রক্তে বেঁচেছে রহিম। তাই যখন চরম অবস্থায় রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে ঠিক তখনই রক্তের সংকট মেটাতে এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীর পাশে দাঁড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন সমাজসেবী নুরুল ইসলাম।
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লক এর খাসবালান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস এর কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের বিল্ডিং এ আয়োজন করা হয় বিশেষ রক্তদান শিবির। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়ম মেনে দূরত্ব বজায় রেখেই রক্ত দান করেন ৩৪ জন । সেখানে যাতে কোনো রকম ভিড় জমায়েত না হয় তার জন্য নজরদারিও রাখা হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। হাতে গোনা কয়েকটা ভলান্টিয়ার দিয়ে পরিচালনা করা হয় মানিকতলা সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংক এর কার্যকরী ব্যক্তিরা গিয়ে সেই রক্ত সংগ্রহ করেন। হাড়োয়া ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় রক্তদানের আয়োজন করেন খাসবালান্ডা অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান তথা হাড়োয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম।
উপপ্রধান রাজ্জাক আলী এবং বিশিষ্ট শিক্ষক সমাজসেবী মার্কেন্ডেয় দাস অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানুষজন সহ হাতে গোনা কয়েকটা বিশিষ্টজনেরা। আয়োজক নুরুল ইসলাম বলেন, লকডাউন এর জন্য একদিকে যখন যানবাহন চলাচল বন্ধ জনজীবন স্তব্ধ। অন্যদিকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে দৃষ্টান্ত দেখালেন নুরুল।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক সহ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে রীতিমত রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই জন্য তাদের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন এবং বলেন এভাবেই ৩৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে আরো রক্তদান হোক বিভিন্ন জায়গায়। এবং রক্ত সংকট মেটাতে তারা সমাজের মানুষের কাছে আবেদন জানান।