সাগর মেলায় রক্তদান শিবির! ১১ ঘন্টায় রক্ত পৌঁছল ডায়মন্ডহারবারে
সাগর মেলায় রক্তদান শিবির শেষ হওয়ার ১১ ঘন্টা পরে রক্ত পৌঁছল ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। যাত্রা পথে সময় আরও বেশি লাগত। সেই সময় কম করার ব্যবস্থা করে হ্যাম রেডিও। সাহায্য করেন জেলাশাসকও।
সাগর মেলায় রক্তদান শিবির শেষ হওয়ার ১১ ঘন্টা পরে রক্ত পৌঁছল ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। যাত্রা পথে সময় আরও বেশি লাগত। সেই সময় কম করার ব্যবস্থা করে হ্যাম রেডিও। সাহায্য করেন জেলাশাসকও। ৮৮ ইউনিট রক্ত খারাপ হওয়া থেকে বাঁচে।
শনিবার সাগরমেলায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেখানে ৮৮ জন রক্তদান করেন। রক্ত ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছনোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি গাড়ির বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল। সব কাজ শেষ করে গাড়িটি যখন কচুবেড়িয়ায় পৌঁছয়, তখন বিকেল পাঁচটা।
সমস্যার শুরু এখান থেকেই। যখন গাড়িটি কচুবেড়িয়ায় পৌঁছয়, সেই সময় ভাটা চলছে। ফলে তখন বার্জ-ভেসেল চলাচল বন্ধ। কিন্তু মুড়িগঙ্গা পাড় হয়ে কাকদ্বীপ থেকে সড়ক পথে প্রায় ৭৮ কিমি পার হয়ে ডায়মন্ডহারবার যেতে হবে। কচুবেড়িয়ায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানান, জোয়ার এলে বার্জ চলাচল শুরু হবে। তা হতে মধ্যরাত হয়ে যেতে পারে। কিন্তু রাত ১২টাতে জোয়ার আসার পরেও বার্জের দেখা নেই। সেই সময় হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা। সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় জেলাশাসকের সঙ্গে। এরপর প্রশাসনের উদ্যোগে রাত দুটো নাগাদ মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকা বার্জ আসে কচুবেড়িয়ায়। রক্তের গাড়িটি কিছুক্ষণের মধ্যে কাকদ্বীপের লট আটে পৌঁছে যায়। এরপর সেখান থেকে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সেখানে পৌঁছতে পার হয়ে যায় রাত তিনটে।
হাসপাতালের ব্ল্যাডব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৮ ইউনিট রক্তই ভাল রয়েছে। তবে সেটি রাতের মধ্যে ব্যাঙ্কে না পৌঁছলে খারাপ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে হ্যাম রেডিও এবং জেলাশাসককে।