পেঁয়াজের দাম বাড়ার পিছনে রয়েছে কালোবাজারি! অভিযোগ ক্রেতাদের
পেঁয়াজের দাম বাড়ার পিছনে রয়েছে কালোবাজারি! অভিযোগ ক্রেতাদের
আলুর পর দাম বাড়ার দৌড়ে ছিল পেঁয়াজ। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছিল, কিন্তু পুজোর মধ্যেই হটাৎ পেঁয়াজের দাম এমন আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। তাতেই চোখে জল চলে এসেছে আমজনতার। এনিয়ে কালোবাজারীকেই দায়ী করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং কলকাতাতে এক লাফে পেঁয়াজের দাম ছুঁয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। পুজোর মরসুমে প্রতিদিনই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ২৫ টাকার পেঁয়াজের দাম লকডাউনের সময় থেকেই ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হতে হতে আনলক পর্বে শুরুতে ৪০ টাকা থাকলেও। নিউ নরমালে দাম পৌঁছেছে এক লাফে ১০০ টাকার কাছে।তার জেরেই ব্যাপক কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে।
ব্যবসায়ীদের অবশ্য দাবি, রাজস্থানের বন্যার কারণে পেঁয়াজের জোগান কমেছে। সে কারণেই দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। যদিও, পাইকারি এবং খুচরো বাজারের মধ্যে দামের সমন্বয় না থাকতেই কালোবাজারির অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
যদিও, পাইকারি দরের সঙ্গে খুচরো দরের ব্যবধানই কালোবাজারির অভিযোগ তুলে দিয়েছে। কলকাতার প্রত্যেকটি মার্কেটে এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও এদিন পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা। উত্তরবঙ্গের একাধিক মার্কেটে এদিন পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার কাছে।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে এবার ক্ষোভ দেখা দিয়েছে আমজনতার মধ্যে। যদিও পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এবছর মহারাষ্ট্রে অকাল বর্ষণে অনেক সংখ্যক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। তাই হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে দক্ষিণী পেঁয়াজের দেখা নেই বাজারে। যার ফলে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম। তবে এমনটা চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই সেঞ্চুরি করে ফেলবে পিয়াজের দাম এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই অবিলম্বে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আমজনতার অসন্তোষ বাড়তেই থাকবে।
সবে মাত্র শেষ হয়েছে দুর্গা পুজো। এখনো বাকি লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো পুজো, তারই আগে পেঁয়াজের অত্যাধিক দামে চোখের জল পরছে ক্রেতাদের। একদিকে করোনা অন্যদিকে সবজির চড়া দাম। আলু, পটল ছিলই, এবার সব সবজিকে টেক্কা দিচ্ছে পেঁয়াজ।
করোনার ভ্যাকসিন ডিসেম্বরেই আসছে! তবে ২ টি শর্ত নিয়ে মুখ খুললেন সিরম কর্তা