মোদীর সভা বানচাল করতেই বিশৃঙ্খলা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যর প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রনমন্ত্রকে চিঠি লিখছে রাজ্য বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যর প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রনমন্ত্রকে চিঠি লিখছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির দাবি, প্রশাসনের মদতে এই বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আর বিশৃঙ্খলার নেপথ্যে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস চেয়েছিল রাজ্যে মোদীর সভা বানচাল করতে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীন বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে যায় ঠাকুরনগরের সভায়। ভিড়-হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়। এর ফলে মাত্র ১৪ মিনিটেই শেষ হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। এরপর দুর্গাপুরের সভা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী। ফোন করে জখম মহিলা ও শিশুদের খোঁজ খবর নেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু দেয়। বিজেপির দাবি পুলিশের গাফিলতের কারণেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। এর ফলে আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়রা এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে নালিশ জানাতে চলেছেন রাজ্য প্রশাসন ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপির দাবি, জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সু-বন্দোবস্ত ছিল না। পুলিশ কার্যত হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল। বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুরের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য উন্মাদনা থাকবে, তা রুখতে হয় প্রশাসনকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য প্রশাসন এখানে নির্লিপ্ত ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, এটা বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা। ওরা ফের একবার নিজেদের দুর্বলতা প্রশাসনের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।
উল্লখ্য, এই বিষয়ে মোদী দুর্গাপুরের সভা থেকে বলেন, ছোট মাঠে বেশি ভিড়েই বিপত্তি বাধে। সেই কারণেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ঠাকুরনগরে অতিরিক্ত ভিড়ের জন্যই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চেয়ার ছোড়াছুঁড়ি করেন কর্মী-সমর্থকরা। এই সব দেখে সভা চলাকালীনই মোদী শান্ত হতে বলেন সবাইকে।
ঠাকুরনগরে পিছনের ভিড় সামনে ধাক্কা দেওয়ায় মানুষ ঢুকে পড়েন হাই সিকিউরিটি জোনে। হুড়োহুড়িতে পড়ে যান অনেক মানুষ। অনেকেই আহত হন। প্রধানমন্ত্রী এর পর দুর্গাপুরের সভা থেকে মা-বোনেদের উদ্দেশ্যে ক্ষমাপ্রার্থী হন।