কলকাতা পুর-নির্বাচনে নিচুতলার কর্মীদের উপরেই ভরসা বঙ্গ বিজেপির, প্রার্থী তালিকায় গুরুত্ব মহিলাদের
গত বিধানসভাতে করা ভুল আর করল না বঙ্গ বিজেপি! বরং আগামী কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে নিচুতলার কর্মীদেরকেও গুরুত্ব দিল সুকান্ত-শুভেন্দুরা। আজ সোমবার ১৪৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ চৌধুরী।
গত বিধানসভাতে করা ভুল আর করল না বঙ্গ বিজেপি! বরং আগামী কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে নিচুতলার কর্মীদেরকেও গুরুত্ব দিল সুকান্ত-শুভেন্দুরা। আজ সোমবার ১৪৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার বিজেপি নেতা বলেন, এবার আমরা নিচুতলার কর্মীদের তালিকাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রার্থী তালিকাতে মহিলাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি। শুধু তাই নয়, ডাক্তার, আইনজীবী, কর্নেল সহ দলের একাধিক পুরানো কর্মীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রতাপ চৌধুরী।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই সবার আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চলকে দেয় বামফ্রন্ট। এবার একক শক্তিতেই তাঁরা লড়াই করছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে যারা তৃণমূল-বিজেপিকে হারাতে পারবে তাঁদেরকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূলও। কিন্তু একের পর এক জটিলতায় শাসকদল। বারবার একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল যে বিজেপি যারা এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি তাঁরা কেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে না।
যদিও এই বিষয়ে আজ বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী তালিকা গত দুমাসেই আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কে কোথায় প্রার্থী হবে তা ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তবে রবিবার চূড়ান্ত আলোচনার পর সেই নামের তালিকাতে শিলমোহর দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতার দাবি, আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলাম যে শুধু একটা পুরসভা নয়, কলকাতা, হাওড়া সহ সমস্ত পুরসভার ভোট একসঙ্গে করতে হবে। সেজন্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। কিন্তু মামলার গতি প্রকৃতি কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই নজর ছিল বলে দাবি শমীক ভট্টাচার্যের। তাঁর কথায় আমরা কোর্টেও আছি আবার ভোটের ময়দানেও আছি।
তবে এবার প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানী। শমীকবাবু বলেন, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল থেকে আসার জন্যে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কিন্তু কাউকে প্রার্থী করা হয়ই। বরং যারা দীর্ঘদিনের কর্মী, মাঠে পড়ে থেকে লড়াই করেছে তাঁদেরকেই প্রার্থী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে যারাই এসেছেন তাঁদেরকে প্রার্থী করা হয়। যার খেসারত বঙ্গ বিজেপিকে দিতে হয়। আর সে থেকে শিক্ষা নিয়েই প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানী শুভেন্দু-সুকান্তরা। শমীকবাবু বলেন, যাদের সঙ্গে সাধারন মানুষের যোগাযোগ রয়েছে তাঁদেরকেই এবার প্রার্থী করা হয়েছে। তবে এদিন মেয়র পদপ্রার্থী কে সেই বিষয়ে কোনও কিছু নিরদিষ্ট করে বলা হয়নি।