বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ মিলল অনুব্রত-গড়ে, পুরুলিয়া-কাণ্ডের ছায়া রহস্য-মৃত্যুকাণ্ডে
পুরুলিয়ার বলরামপুরের পর বীরভূমের লাভপুর। আবারও ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর। লাভপুরের দ্বারকা গ্রাম থেকে উদ্ধার হল বিজেপি-কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ।
পুরুলিয়ার বলরামপুরের পর বীরভূমের লাভপুর। আবারও ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর। লাভপুরের দ্বারকা গ্রাম থেকে উদ্ধার হল বিজেপি-কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তাপস বাগদি। বয়স ৩৩। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বিজেপি করে বলেই তাপসকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ঝামেলা বাধে তাপসের। তারপরই এই ঘটনা। এটা আত্মহত্যা নয়. খুন বলেই অভিযোগ তাপসের স্ত্রী সমাপ্তীর। তাপসের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
বিজেপিও অভিযোগ করে, দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে তাপস ও তাঁর দুই ভাইয়ের সঙ্গে তৃণমূলের গন্ডগোল হয়েছিল। সেইসময় বিজেপির তরফে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, তাপস ও তাঁর ভাইদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। অবশেষে তাঁরা বাড়ি ফেরে পুজোর সময়। পুজো শেষ হতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।
পরিবারের দাবি, বিকেলে নদীতে স্নান করতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয় তাপস। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সন্ধ্যায় দ্বারকা নদীর ধারে একটি গাছ থেকে উদ্ধার হয় দেহ। লাভপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর সময় বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: বিজেপির পতাকা হাতে গ্রাম ঘুরছেন তৃণমূল সভাপতি! 'আজব' এ দৃশ্যের সাক্ষী খানাকুল]
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানান হয়েছে, এটা নিছকই একটি আত্মহত্যার ঘটনা। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক রং চড়ানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এর আগে পুরুলিয়ার বলরামপুর ও সুপুরডিহিতে দুই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন:মানালিতে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! মৃত রাজ্যের যুবক, আহত অনেকে]