কর্মী খুনে পুলিশি তদন্তে পরকীয়া তত্ত্ব! মানতে নারাজ বিজেপি
গোয়ালতোড়ে বিজেপি কর্মী খুনে পুলিশি তদন্তে উঠে এল পরকীয়ার তত্ত্ব। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছে বিজেপি কর্মী খোকন মান্ডিকে।
গোয়ালতোড়ে বিজেপি কর্মী খুনে পুলিশি তদন্তে উঠে এল পরকীয়ার তত্ত্ব। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছে বিজেপি কর্মী খোকন মান্ডিকে। এমনটাই দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ খোকন মান্ডির স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। যদিও বিজেপির দাবি খুনের পিছনে রয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি কর্মী খুন
শুক্রবার সকালে ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় বিজেপি কর্মী খোকন মাণ্ডির দেহ। গোয়ালতোড়ের কালীপুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা খোকন মাণ্ডি পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন। প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন রাতে। সকালে বিছানায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত বিজেপি কর্মীর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
স্ত্রীর দাবি
শুক্রবার সকালে খোকন মাণ্ডির স্ত্রী লুদি মাণ্ডি দাবি করেছিলেন, গভীর রাতে খোকন যখন বাড়ি ফিরেছিলেন, তখন তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এরপর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানায় স্বামীর রক্তাক্ত দেহ দেখেন। ঘরে স্ত্রী থাকতেও, কে বা কারা, ঘরে ঢুকে স্বামীকে খুন করল তা নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সন্দেহ তৈরি হয় স্ত্রীকে ঘিরেই। এই খুনে পরিবারের পরিচিত কেউ জড়িত, তা প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল পুলিশের।
গ্রেফতার ২
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের একজন হলেন মৃতের স্ত্রী এবম অপর জন প্রতিবেশী শঙ্কর মাণ্ডি। যিনি সম্পর্কে মৃত খোকন মাণ্ডির ভাই। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, শঙ্কর মাণ্ডির সঙ্গেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন লুদি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন খোকন। ফলে তাঁকে সরিয়ে দিতেই এই খুন।