গাছে ঝুলে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর 'পরম্পরা' চলছেই! এবার দাঁতনে উদ্ধার দেহ
রাজ্যে ফের বিজেপি (bjp) কর্মী হত্যার অভিযোগ। দশমীতে গাছে ঝোলানো অবস্থায় বাচ্চু বেরা নামে বিজেপি কর্মীর দেহ (body) উদ্ধার করা হয়। তার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির তরফ থেকে এই খুনের ঘটনায় ত
রাজ্যে ফের বিজেপি (bjp) কর্মী হত্যার অভিযোগ। দশমীতে গাছে ঝোলানো অবস্থায় বাচ্চু বেরা নামে বিজেপি কর্মীর দেহ (body) উদ্ধার করা হয়। তার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির তরফ থেকে এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও, শাসকদল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।
মোদী সরকারের নতুন প্রকল্প! এবার লক্ষ লক্ষ মানুষকে 'স্বনিধি' লোন
দাঁতনে গাছে ঝোলানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী বাচ্চু বেরা। দশমীতে গাছে ঝোলানো অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে গলায় গামছা দেওয়া অবস্থায় দেহ পাওয়া গেলেও, কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটির সঙ্গেই লেগে রয়েছে। এর থেকে প্রাথমিকভাবে এলাকার বাসিন্দাদের অনুমান, তাঁকে মেরে ওইভাবেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও দাঁতনে ঝুলন্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মীর দেহ
এর আগেও ২০১৯-এ দাঁতনে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মী বর্ষা হাঁসদার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় বিজেপি অভিযোগ করেছিল রাজনৈতিক বিরোধের জেরেই সেই হত্যা। এবছরের জুনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর নাম ছিল পবন জানা। বিজেপির অভিযোগ ছিল এলাকায় সংগঠন বাড়তে থাকায় ভীত হয়েই বিজেপি হামলা চালায়।
গত সেপ্টেম্বরেও গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার
এর আগে দেখা গিয়েছে জঙ্গলমহল হোক কিংবা আরামবাগ সর্বত্রই গাছে ঝুলেছে বিজেপি কর্মীর দেহ। এবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আরামবাগের গোঘাটে সক্রিয় বিজেপি কর্মী গণেশ রায়কে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিজেপির অভিযোগ ছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করে তাঁকে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
গাছে ঝুলে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর 'পরম্পরা'
গত বছরের অগাস্টে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নারেঙ্গা দিঘি গ্রামে গাছে ঝোলানো অবস্থায় বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে গাছে ঝোলানো অবস্থায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পরম্পরা চলে আসছে গত লোকসভা ভোটের সময় থেকে। ২০১৯-এর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে পুরুলিয়ার আড়শার সেনাবোনা গ্রামে গাছে ঝুলে থাকা অবস্থায় বিজেপি কর্মী শিশুপাল সহিসের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
যদিও এইসব ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার খবর অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কোনও সময় পারিবারিক কারণ এবং কোনও সময় দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মৃত্যু বলেই দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল।
{quiz_408}