লোকসভার চাবিকাঠি মমতা-মায়াবতীদের হাতে! জোট না হলে কী হবে ফল, দেখাল সমীক্ষা
এবার লোকসভা নির্বাচনে মূল চাবিকাঠি বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের হাতে। সেই কারণেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে দুই রাজ্যকে নিয়ে। একইসঙ্গে আলোচিত হচ্ছে জোট প্রসঙ্গ।
এবার লোকসভা নির্বাচনে মূল চাবিকাঠি বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের হাতে। সেই কারণেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে দুই রাজ্যকে নিয়ে। একইসঙ্গে আলোচিত হচ্ছে জোট প্রসঙ্গ। বিশেষ করে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট আর উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হচ্ছে কি না তার উপর নির্ভর করছে নির্বাচনী ভবিষ্যৎ।
যদি বিজেপি বিরোধী জোট না হয়, বিশেষ করে কংগ্রেসের জোটে যদি তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির জোট না হয়, তাহলেই বদলে যাবে হিসেবটা। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় উঠে এসেছে তেমনই কিছু তথ্য। সম্প্রতি ২০১৯-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে-কার্ভি ইনসাইট মুড একটি সমীক্ষা করেছে।
এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপির পোয়াবারো হবে যদি তৃণমূল কংগ্রেস, সপা ও বিএসপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের জোট না হয়। বিজেপি যদি এই জোট আলোচনায় জল ঢেলে দিতে পারে অর্থাৎ জোট ভেস্তে দিতে পারে, তাহলেই কেল্লাফতে। তখন বিজেপির জয় আটকায়, কার সাধ্যি। আর তা হলে বিজেপি ড্যাংডেঙিয়ে ২৮০-র উপর আসন পেয়ে যাবে। অর্থাৎ ২০১৪ মতোই তখন খানিকটা নির্বাচনী ফল হবে।
ইন্ডিয়া টুডে-কার্ভির সমীক্ষা অনুযায়ী, ইউপিএ ও এনডিএ যদি ২০১৪-র মতো লড়াই করে। এসপি, বিএসপি এবং তৃণমূল যদি কোনও জোটেই না থাকে, তবে এনডিএ পেতে পারে ২৮১ টি আসন। ইউপিএ পেতে পারে ১২২টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ১৪০টি আসন। তবে বিজেপি একা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না ২০১৪-র মতো। কংগ্রেস এককভাবে সেক্ষেত্রে পেতে পারে ৮৫টি আসন। অর্থাৎ সরকার গড়বে বিজেপি-জোট অর্থাৎ এনডিএ।
কিন্তু সেই সম্ভাবনা যেহেতু ক্ষীণ, এবার যেহেতু তৃণমূল, এসপি, বিএসপি-র সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল, বিজেপির চিন্তা বাড়ছে। ভোট পূর্ববর্তী জোটে ওই তিন দল থাকলে লড়াই হবে শেয়ানে শেয়ানে। সেক্ষেত্রে এনডিএ পেতে পারে ২২৮, ইউপিএ ২২৪। অন্যান্য ৯১। অর্থাৎ কিংমেকার হবে জোটের বাইরে থাকা দলগুলির কেউ।