বিজেপির এখন তিন ধারা বাংলায়, মুকুল বনাম দিলীপের যুদ্ধে সামিল ‘দাদার অনুগামী’রাও
বাংলার বিজেপি এখন তিন ধারায় বইছে। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে অনেক ক্ষেত্রেই। তার আভাস মিলেছে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তে এখনও বাকি, তার আগেই আসরে নেমে পড়েছেন 'দাদার অনুগামী'রা।


আদি-নব্য ও তৎকাল বিজেপির দ্বন্দ্ব একুশে
কোন দাদার অনুগামীকে প্রার্থী করবে দল, তা নিয়ে অশনি সংকেত দেখিয়ে দিল একটি পোস্টার। বিজেপির প্রার্থী চয়নে যে আদি-নব্য ও তৎকাল বিজেপির দ্বন্দ্ব বাধবে, তার আভাস মিলতে শুরু করেছে এখন থেকে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মুকুল রায় ছিলেন কমিটির মাথায়। তিনি সিংহভাগ আসনে তাঁর অনুগামীদের বসিয়েছিলেন।

মুকুলের মতোই শুভেন্দুরও বহু জেলায় আধিপত্য
২০১৯-এ বিজেপির উত্থান হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসে ধাক্কা খেয়ে ২০২১-এ অনেকে আবার বিজেপিমুখো হয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের মতোই শুভেন্দু অধিকারীরও বহু জেলায় আধিপত্য রয়েছে। তারপর রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলে তিন নেতার অনুগামীদের মধ্যে একটা লড়াই তো থাকবেই।

তিন নেতার অনুগামীদের প্রার্থী হওয়ার আবদার
মুকুল রায়ের উপর দায়িত্ব সারলে এবার সমস্যা হতে পারে ভেবেই অমিত শাহ নিজের হাতেই রেখেছে ব্যাটন। মুকুল রায় বা দিলীপ ঘোষ- কারও হাতেই নির্বাচনের ব্যাটন তুলে দেননি তিনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অমিত শাহ নিজে। কিন্তু তিন নেতার অনুগামীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার এমন অনেক আবদার আসবে।

শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের দাবিও জোরদার
বিজেপিতে এবার তিন নেতার পছন্দের প্রার্থী নিয়ে অমিত শাহকে বেগ পেতে হবে। এমনিতেই বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল রায় বনাম দিলীপ ঘোষের একটা লড়াই রয়েছে। ভোটের আগে দাদার অনুগামী হিসেবে একটা পক্ষও যে এবার সক্রিয় হবে, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের দাবিও এবার জোরদার হবে।

দাদার অনুগামীর আড়ালে তৃণমূলও বেগ দেবে!
বিজেপির দাবি, দাদার অনুগামীর নাম দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ বিজেপির বদনাম করার চেষ্ঠা করছে। তাই যদি হয়, তবে আরও সংকট বাড়বে যে তৃণমূলের তরফে দাদার অনুগামীর আড়ালে কোনও কোনও বিজেপি নেতার নাম সামনে এনে জট পাকানোর চেষ্টাও চলবে। তাই বিজেপিকে এবার অনেক ঝক্কি সামলাতে হবে।
কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি, মোদীর উদাসীনতাই দায়ী, টুইটে কেন্দ্রকে বিঁধলেন মমতা