বাম-জোট সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসালে বিজেপিরই লাভ, সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল
বাম-জোট সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসালে বিজেপিরই লাভ, সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল
১০ বছর সরকারে রয়েছে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে সরকারবিরোধী হাওয়া। নানা দুর্নীতি-অনিয়মে জেরবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। তবু তৃণমূলকে হারাতে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চার দিকে। সংযুক্ত মোর্চা সংখ্যালঘু ভোট যত কাটবে, ততই সুবিধা হবে বিজেপির।
বিজেপির হিন্দুত্বের তাস, আইএসএফের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা
২৯৪ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। সেই সংখ্যা ছুঁতে এবার লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির। বিজেপি ভোট শুরুর আগে থেকেই হিন্দুত্বের তাস খেলে বসে রয়েছে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভোটকে টার্গেট করে প্রচার চালিয়েছে। আর উল্টোদিকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে ঘূঁটি সাজিয়েছে আইএসএফ।
আইএসএফের পদক্ষেপ বিজেপির পক্ষে যাবে, মত রাজনৈতিক মহলের
ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি নতুন দল গডেছেন। সেই নতুন দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে শক্তিশালী হয়ে ভোট ময়দানে নেমেছে। আইএসএফের এই পদক্ষেপ বিজেপির পক্ষেই যাবে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। কেননা তাতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসবে।
৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটকে প্রভাবিত করার কৌশল নিয়ে বিজেপি ময়দানে
বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলে টার্গেট করেছেবাংলার ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটারকে। আহার তিন তালাক প্রথা বিলোপ করে সংখ্যালঘুদের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছে। মুসলিম মহিলা সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটকে প্রভাবিত করার কৌশল নিয়ে বিজেপি ময়দানে উপস্থিত।
আইএসএফের বামজোটে একেবারে জোড়া ফলায় বিদ্ধ হবে তৃণমূল
আর তৃণমূলের মতে আব্বাস সিদ্দিকি বিজেপির হয়েই কাজ করছেন। তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতেই তাঁকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আবার কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে জোট করে সংখ্যালঘু বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা চালিয়েছেন। এর ফলে একেবারে জোড়া ফলায় বিদ্ধ হবে তৃণমূল।
ভোটের শেষবেলাতে কলকাতা বন্দর কেন্দ্রে তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন
আইএসএফ বা বামজোট সংখ্যালঘু ভোট কাটলে বিজেপিরই সুবিধা
তৃণমূল খানিক বেকায়দায় পড়বে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হলে, তা নিশ্চিত। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় শ-খানেক বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পরাজয় নির্ধারণ করে দেয় সংখ্যালঘু ভোট। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে এমন আসন রয়েছে ৩৪টি। সেখানে যদি জোট বেশ কিছু আসনে জেতে এবং কিছু আসনে সংখ্যালঘু ভোট কাটে, তবে বিজেপিরই সুবিধা।