বিজেপির শান হিন্দুত্বে, আব্বাসরা সংখ্যালঘু ভোট বিভাজনে! জাঁতাকলে পড়েছে তৃণমূল
একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই জাঁতাকলে পড়ছে তৃণমূল। একদিকে বিজেপি হিন্দুত্বে শান দিতে শুরু করেছে, অন্যদিকে আব্বাসরা হাজির সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট বিভাজনে।
একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই জাঁতাকলে পড়ছে তৃণমূল। একদিকে বিজেপি হিন্দুত্বে শান দিতে শুরু করেছে, অন্যদিকে আব্বাসরা হাজির সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট বিভাজনে। ফলে তৃণমূল পড়েছে শাঁখের করাতে। তাই এবার বাংলায় ভোট মেরুকরণের সম্ভাবনায় তৃণমূল হিসাব মেলাতে পারবে কি না, সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে
প্রশান্ত কিশোর সংখ্যালঘু ভোটের ভরসায় বড়াই করে বলেছিলেন বিজেপি দুই অঙ্ক পেরোতে পারবে না। এখন যেভাবে রাজ্যে হিন্দুত্বে শান দিচ্ছে বিজেপি, তাতে অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তারপর পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি নতুন জল করার পর এবং মিমের অংশগ্রহণে বাংলায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসবে।
ঘাটতি পূরণ কীভাবে হবে, প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়
তারপর রয়েছে ভাঙন। ভোট ঘোষণার পরও তৃণমূল ভেঙে চলেছে। বিজেপিতে পাড়ি দিচ্ছেন দলের বিধায়করাও। শুভেন্দু-রাজীবের মতো নেতা-মন্ত্রীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। হালে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মতো নেতাও পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন। ফলে পকেটে পকেটে তৃণমূলের ভোট কমছে। এই ঘাটতি পূরণ কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়!
বিজেপি যে কড়া হিন্দুত্বের তাস আরও খেলবে
যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে এসে হিন্দুত্বের ধ্বজা তুলে দিয়েছেন। তিনি দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে গো-হত্যা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। রাজ্যে বিজেপি যে কড়া হিন্দুত্বের তাস আরও খেলবে, তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যে ভোট মেরুকরণ ঘটাতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্য নিয়েই এবার তারা এগোচ্ছে।
সংখ্যালঘু ভোট ভাঙতে আসরে নেমেছে আব্বাস!
তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ভাঙতে আসরে নেমেছে আব্বাস সিদ্দিকিরা। আব্বাস সিদ্দিকি প্রথমে মিমের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়তে চাইলেও পরে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোটের অংশ হয়েছেন। ফলে বাম-কংগ্রেসের দিকে সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ চলে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বাংলার মানুষ মমতার সরকারকে ফেরাবে না
এই অবস্থায় তৃণমূল বিশ্বাস রাখছে বাংলার মানুষের উপর। বাংলার মানুষের জন্য বিগত ১০ বছর ধরে নানা জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে মমতার সরকার। তাই বাংলার মানুষ মমতার সরকারকে ফেরাবে না। সংখ্যালঘুদের জন্যও কাজ করেছে সরকার, সংখ্যালঘুরাও মমতার সরকারের পাশে থাকবে। পাশে থাকবে, দলিত, আদিবাসী, তফশিলি শ্রেণির পিছিয়ে পড়া মানুষরাও।