বঙ্গ বিজেপির ‘নেতৃত্বে’ বদল আসছে! একুশের নির্বাচনে ব্যর্থতায় কোপ পড়ছে কার ঘাড়ে
বঙ্গ বিজেপির ‘নেতৃত্বে’ বদল আসছে! একুশের নির্বাচনে ব্যর্থতায় কোপ পড়ছে কার ঘাড়ে
একুশের নির্বাচনে বিজেপি ৩ থেকে বেড়ে ৭৭ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্যপূরণে। ২০০-তো দূর অস্ত, বিজেপি বাংলায় পরিবর্তন আনার জন্য ম্যাজিক ফিগারও ছুঁতে পারেনি। এমনকী ২০১৯-এর লোকসভায় যে সংখ্যক আসনে এগিয়েছিল, সেই আসনও ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি। তাই এবার নেতৃত্বে বদল আনতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে সরানোর ভাবনা শুরু বিজেপিতে
বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। বাংলার নির্বাচনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে সরানোর ভাবনা শুরু হয়ে বিজেপির অন্দরে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতাকে সরিয়ে কেন্দ্রীয নেতৃত্বের তরফে অন্য এক নেতাকে বসানো পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির।
শাহের আস্থাভাজন কোনও নেতাই হবেন পর্যবেক্ষক
গেরুয়া শিবির কৈলাশকে সরানোর ব্যাপারে একপ্রকার মনস্থ করে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদবকে আনা হতে পারে বাংলার দায়িত্বে। তিনি অমিত শাহের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। এছাড়া বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঞ্জাবের তরুণ চুঘের নামও রয়েছে জল্পনায়।
দুই নেতা বাংলায় একপ্রস্থ ট্রায়াল দিয়ে গিয়েছেন
বিজেপি বাংলায় আশানুরূপ ফল করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বে যে রদবদল আসবে, তা অনুমান করা গিয়েছিল। ইতিমধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই নেতা বাংলায় একপ্রস্থ ট্রায়াল দিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা দুজনেই বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাশের জুটি ভেঙে যাবে তাহলে!
বাংলায় বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তাঁর সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল অরবিন্দ মেননকে। মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি বাংলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তিনিও তৃণমূল ভাঙতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সেই দল ভাঙানো যে নিদেন পক্ষে লাভের কিছু হয়নি, একুশের নির্বাচনী ফলাফলই তার প্রমাণ।
বারাণসীর ডাক্তারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক, কোভিডে মৃতদের স্মরণ করে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র প্রতি
কৈলাশকে নিয়ে বঙ্গে বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ ছিল। তিনি নব্য বিজেপিদের নিয়েই থাকতেন, তাই বিজেপির অন্দরে অনেকেই সরব হয়েছিলেন তাঁর বিরুগ্ধে। সংঘও তাঁর তৃণমূল ভাঙিয়ে দল বাড়ানোর কৌশল ভালোভাবে নেননি। সঙ্ঘের মুখপাত্র দল ভাঙানোর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।