বুদ্ধিজীবীদের প্রার্থী করে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে চাইছে বিজেপি
অমিত শাহ রাজ্যে এসে ২০১৯-র লোকসভা ভোটের দিকে নিশানা করে গেলেও, পঞ্চায়েত ভোটকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর প্রস্তাবনা, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-র প্রার্থী করা হোক বুদ্ধিজীবীদেরই।
কলকাতা, ২৯ এপ্রিল : অমিত শাহ রাজ্যে এসে ২০১৯-র লোকসভা ভোটের দিকে নিশানা করে গেলেও, পঞ্চায়েত ভোটকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর প্রস্তাবনা, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-র প্রার্থী করা হোক বুদ্ধিজীবীদেরই। তাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়েই তিনি পঞ্চায়েত যুদ্ধে তৃণমূলকে বশ মানাতে চাইছেন। উত্তর ও দক্ষিণ- দুই বঙ্গের জন্যই তাঁর রূপরেখা তৈরি।
তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। দুই বঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে তিনি আলাদা করে বৈঠক করার পর তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন এমনটাই। দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন বুদ্ধিজাবীদের তালিকা তৈরি করুন। এলাকা ভিত্তিক সেই তালিকা ধরেই প্রার্থী নির্বাচন করা হোক।
বিজেপি এবার তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে টার্গেট করছেন এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ডাক্তার, শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিকদের। অমিত শাহ নিজে এই বিষয়ক দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। দ্রুত সেই তালিকা প্রস্তুত করে তাঁকে পাঠাতে হবে বলেও জানিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। সেই মতো পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি একপ্রকার শুরু করে দিল বিজেপি।
মহাজাতি সদনে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বিদেপি একটি ফর্ম বিলি করেছিল। যা পূরণ করে দিতে বলা হয়েছিল বুদ্ধিজীবীদের। সেই ফর্মে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল-সহ সমস্ত তথ্য রয়েছে। তা ধরেই চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেই তালিকা ধরেই প্রস্তাব দেওয়া হবে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার।
স্থির হয়েছে বুদ্ধিদীবীরা যদি প্রার্থী হতে সম্মত হন, তাহলে বিজেপি তাঁদেরকেই প্রার্থীপদে অগ্রাধিকার দেবে। এমনকী যদি কেই কারও প্রতীক নিয়ে সমস্যা থাকে, তাঁদের বিজেপি বাইরে থেকে সমর্থন দেবে বলেও জানানো হয়। মোটকথা সংগঠন বাড়াতে এলাকার শিক্ষক-ডাক্তার-সাহিত্যকদের দলে টানতে চাইছে বিজেপি।