রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। খুন হচ্ছে একের পর এক কাউন্সিলর। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিধানসভায় ওয়াকআউট করল বিজেপি। বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। বিধানসভার বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিধায়করা।
তৃণমূলের আমলে রাজ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে। প্রাক-ভোট অশান্তি তো ছিলইষ অনেকে ঘরছাড়াও হয়েছিল। ভোট-পরবর্তী অশান্তিও লেগে রয়েছে। ২০২১-এর ভোটের পর অনেকেই ঘরছাড়া। অনেকে আক্রান্তও হয়েছেন। রক্ত ঝরেছে বাংলায়। পুরভোটের পরও সেই হিংসা ও সন্ত্রাস অব্যাহত।
সম্প্রতি ফলাফল প্রকাশ হয়েছে পুরসভা নির্বাচনের। তারপর শনিবার রাতে রাজ্যের দু-প্রান্তে দুই কাউন্সিলর খুন হয়েছেন। পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। আর উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে খুন হয়েছেন তৃমমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। এই জোড়া রাজনৈতিক খুন নিয়ে তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি।
এদিন তার প্রভাব পড়ল বিধানসভায়। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই ওয়েলে নেমে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবনতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে তাঁরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। বিধানসভার বাইরে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির বিধায়করা।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে বাড়ির সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে আঙুল তোলা হয় বিজেপিক দিকে। বিজেপি পাল্টা জানায়, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে একের পর এক খুন হচ্ছে, হিংসা ছড়াচ্ছে, আর তৃণমূল আঙুল তুলছে তাদের দিকে। এই ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূলের রাজত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা।
শুধু উত্তর ২৪ পরগনা নয়, পুরুলিয়ায় ঝালদাতেও এক কাউন্সিলর খুন হয়েছেন। সেখানে কংগ্রেসের কাউন্সিলর খুনে অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস যখন এই অভিযোগে সরব হয়েছে, তখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিজেপিও। বিজেপি বিধায়করা রাজ্যে একের পর এক সন্ত্রাস, খুন ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার ঘটনায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিজেপির তরফে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মামলা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দরবার করেছে বিজেপি। দরবার করা হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছ পর্যন্ত। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এদিন অবশ্য হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ঘরছাড়া ও আক্রান্তদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।