২০২১ এর লক্ষ্যে জনসংযোগ নিয়ে নয়া সংকল্প বিজেপির, এল কেন্দ্রীয় নির্দেশ
২০২১ সালে নির্বাচনে এক তুমুল লড়াই হতে চলেছে বাংলায়।
২০২১ সালে নির্বাচনে এক তুমুল লড়াই হতে চলেছে বাংলায়। সেই লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আখের গোছাতে শুরু করেছে। তাঁরা ভোট জয়ের লক্ষ্যে নিয়োগ করেছে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে। সেজন্য তাঁদের কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে রাজ্য বিজেপিও তলে তলে নেমে পড়েছে প্রচারে।
কী নির্দেশ এসেছে
তবে সেই প্রচারের কৌশল কিন্তু খানিক আলাদা। নির্দেশ এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় যে সমস্ত অনুষ্ঠান রয়েছে তাতে যাতে বেশি করে বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। এই বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং দুর্গাপুজোর মতো বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ কাছাকাছি আসেন, অনেকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। গণ যোগাযোগের এই মাধ্যমকে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বাড়াতে হবে জনসংযোগ
সেজন্যই বিশেষ করে দুর্গাপুজোর সময় যাতে জনতার ভিড়ে মিশে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তোলা যায় সেজন্য দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির হাইকম্যান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন পুজো কমিটিকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর অনুগত অনেক নেতা-কর্মী বিভিন্ন বড় দুর্গাপুজো কমিটিগুলির মাথায় রয়েছেন।
তৃণমূল-বিজেপি লড়াই
এবার ধীরে ধীরে বিজেপি নেতাদের এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে শামিল হওয়ার নির্দেশ এসেছে। ফলে আগামী দিনে দুর্গাপুজা কমিটির লড়াইয়ে তৃণমূল-বিজেপি ঠান্ডা লড়াই দেখা যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০২১ এর লক্ষ্যে সংকল্প
আর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে উৎসবের মরসুম। গণেশ পুজো, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী, সরস্বতী পুজো রয়েছে বাংলায়। এগুলিকেই হাতিয়ার করে নিয়ে জনসংযোগ গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২১ এর লক্ষ্যে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামছে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।