বিজেপির টার্গেটে মমতার দলের কোন সাংসদ! ফাঁস হয়ে গেল কৈলাশ-মুকুলের ফোনালাপে
তৃণমূলের কোন সাংসদ বিজেপির নেক্সট টার্গেট। ফাঁস হয়ে গেল মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র কথোপকোথনের অডিও-য়।
তৃণমূলের কোন সাংসদ বিজেপির নেক্সট টার্গেট। ফাঁস হয়ে গেল মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র কথোপকোথনের অডিও-য়। যদিও এই অডিও পরিক্ষিত নয়, তবু গলা শুনে দুই নেতার বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তাতে মুকুল রায় জানিয়েছেন, তৃণমূলের কোন সাংসদের দিকে তাঁদের নজর রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে কী প্ল্যান বিজেপির।
বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল রায়ের প্রধান কাজ তৃণমূলকে ভেঙে দলকে মজবুত করা। তৃণমূলকে দুর্বল করতে এখন বিজেপি প্রধান টার্গেট মতুয়া ভোট। কারণ অন্তত ১০টি সংসদ ক্ষেত্রের ভাগ্য নির্ধারণ হয় মতুয়া ভোটে। আর সেই লক্ষ্যেই বিজেপির টার্গেট তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
২০১৬ উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী মঞ্জুল-পুত্র সুব্রত ঠাকুর হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী তাঁরই জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুরের কাছে। উপনির্বাচনের আগেই মমতা মন্ত্রিসভার প্রাক্তনমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর সপুত্র তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে হেরে ক্ষমা স্বীকার করে ফের তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে ফিরতে চান। চিঠিও দেন। তৃণমূলেও যোগদান করেন। কিন্তু প্রভাব-প্রতিপত্তি ফিরে পাননি।
এখন বিজেপি চাইছে ঠাকুরনগরের ঠাকুর পরিবারে ভাঙন ধরিয়ে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াতে। আর সেই লক্ষ্যে বিজেপির প্রথম টার্গেট কিন্তু মমতাবালা ঠাকুর। মুকুল রায় তা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে ওই ফোনালাপে জানিয়েছেন। যদিও সে বিষয়টি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এড়িয়ে গিয়েছেন।
মুকুল রায় মমতাবালার পর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মঞ্জুল-জায়াকে। মুকুলের কথায়, তিনিও লড়াকু মহিলা। মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও তাঁর ছেলে বিজেপির টিকিটে বনগাঁ উপনির্বাচনে লড়াই করা সুব্রতর সঙ্গে এখনও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান মুকুল রায়। সেদিক দিয়ে সুব্রতর মা অর্থাৎ মঞ্জুল ঘরণীকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া যেতেই পারে।
[আরও পড়ুন:বোমার পাহাড় ইন্দো-বাংলা সীমান্তে, বড়সড় বিস্ফোরণের হাত থেকে রক্ষা মুর্শিদাবাদে]
এরপর ঠাকুরবাড়ির অন্দরে প্রবেশ করতে বাজি মঞ্জুলকৃষ্ণের অপর পুত্র শান্তনু ঠাকুর। এই সেই শান্তনু ঠাকুর, যিনি পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবং গ্রেফতারের পর তির ছুড়েছিলেন নিজের জেঠিমার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দিকে। অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা করে ফেরা শান্তনুকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: নিজের জীবন তুচ্ছ করে শত প্রাণ বাঁচিয়েছেন, তার বেলায় কেউ নেই! নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস]
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শান্তনুর ব্যাপারে দানতেই মুকুল রায়কে ফোন করেন। আর দলের পর্যবেক্ষকের ফোন পেয়ে মুকুল ভাসিয়ে দেন আর একটি নাম। সেই নাম শঙ্কর ঠাকুরের। শান্তনুর থেকে শঙ্কর অনেক ভালো মুখ হবে বিজেপির তরফে, এমনও জানান। পাশপাশি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বলেন শান্তনুকে বলুন, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। মোট কথা ঠাকুর পরিবারের অন্দরের রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে মতুয়া ভোটে ভাগ বসানোই বিজেপির লক্ষ্য, তা বুঝিয়ে দিয়েছে এই কথোপকোথন।
(এই অডিও-র সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি ওয়ান ইন্ডিয়া বেঙ্গলির তরফে)