বিজেপির টার্গেটে এবার মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা, লোকসভার আগেই কি শিবির বদল
একটা সময়ে একক দক্ষতায় তৃণমূল কংগ্রেসকে থামিয়ে দিয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তৃণমূল জমানায় এখন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সেই নেতাই কোণঠাসা। নিজের দলেই তিনি ব্রাত্য। কেশপুর-গড়বেতার রাশ যাঁর হাতে ছিল সেই সুশান্ত ঘোষ স্থান পাননি জেলা কমিটিতে। সিপিএম ব্রাত্য হতেই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

এর আগে লক্ষ্মণ শেঠ বামসঙ্গ ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগদান করেন। এবার তারা টার্গেট করেছে সুশান্ত ঘোষকে। শত্রুর শত্রুকে বন্ধ বানিয়ে নতুন কৌশল প্রয়োগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে লড়াই দেওয়ার জন্যই সুশান্ত ঘোষের মতো নেতাকে নিজেদের শিবিরে ভেড়াতে চাইছেন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: 'মজা হচ্ছে'! পোট্রোলের দামে ১ পয়সা কমতি নিয়ে মোদীকে তীব্র কটাক্ষ রাহুলের ]
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সুশান্ত ঘোষকে। জেলে যাওয়ার পর থেকেই নামতে নামতে শূন্যতে পৌঁছে গিয়েছেন এককালের দাপুটে এই নেতা। দলেও এখন তিনি একঘরে। এই অবস্থায় তাঁকে নিজেদের দলে নিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করতে চাইছে বিজেপি।

দল থেকে সব হারিয়ে যখন একেবারে গৃহবন্দি অবস্থা সুশান্ত ঘোষের, তখনই বিজেপি প্রস্তাবটা ছুড়ে দিল। এখন দেখার সুশান্ত ঘোষ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন কি না। কিংবা জার্সি বদল করলে ফের পুরনো ফর্মে তিনি ফিরতে পারেন কি না। সুশান্ত ঘোষ বিজেপির এই প্রস্তাবে রাজি হলে পারতপক্ষে তিনি লাভই করবেন। আর বিজেপিরও শক্তি বৃদ্ধি হবে বাংলায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর সিপিএমের জেলা কমিটি গঠন হয়। সেই কমিটিতে এবার স্থান পাননি সুশান্ত ঘোষ। তাণকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে। সুর্যকান্ত মিশ্রদের এই সিদ্ধান্তের পর বিজেপি ময়দানে নামে। এবার নতুন এই খেলায় তারা সফল হয় কি না, তা বলবে ভবিষ্যৎই।
[আরও পড়ুন:সরকারিকর্মীরা চূড়ান্ত সুখবর পেতে চলেছেন শীঘ্রই, স্রেফ মমতার সিলমোহরের অপেক্ষা ]
সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় দারুন সফল হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের হাত তেকে বহু পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছে। এই সাফল্য যেমন তারা ধরে রাখতে আগ্রহী, তেমনই আরও শক্তিবৃদ্ধি করে বিস্তার লাভও করতে চাইছে নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যেই সুশান্ত ঘোষকে টার্গেট করা বিজেপির।