বিজেপির পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি কার্যকারিণী বৈঠকে
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলায় এগনোর পরিকল্পনা কষছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দু'দিনব্যাপী আয়োজিত হতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকারিনী বৈঠক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলায় এগনোর পরিকল্পনা কষছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দু'দিনব্যাপী আয়োজিত হতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকারিনী বৈঠক। শুক্রবার ও শনিবার দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে এই বৈঠককে ঘিরে সাজো সাজো রব বিজেপিতে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পাঁচজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। বৈঠক শুরু হওয়ার আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষরা সিটি সেন্টারে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় অংশ নেন। পাহাড়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্ত থেকে শুরু করে সৌমিত্র খান, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল সকলেই বৈঠকে এসে যোগ দেন।
২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পরিকল্পনা তৈরি করতেই এই বৈঠক। এছাড়া রাজ্যের যে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন বাকি আছে, সেগুলির জন্য গেরুয়া শিবির পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোন ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলন তীব্র করে তোলা হবে তা চূড়ান্ত করতেই এই বৈঠক।
লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে অগ্নিমিত্রা পাল, এমনকী সাংসদ সৌমিত্র খানও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ টাকার দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেন। সাংসদ সৌমিত্র খান জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের শেষের শুরু হয়ে গেছে। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল। কারণ সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার মানুষ সেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিভিন্ন দুর্নীতির মুল মদতদাতা। আপাতত দু'দিনের এই বৈঠককে ঘিরে গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উৎফুল্ল। যদিও তিনতারা হোটেলের বিলাসবহুল পরিবেশে গেরুয়া শিবিরের এই বৈঠককে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন পান্ডবেশ্বরের টিএমসি বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, বিজেপি ফাইভ স্টার দল। তাই তারা তিন তারা হোটেলে সম্মেলন করবে এটাই স্বাভাবিক। দলের সাধারণ কর্মীরা সেখানে ঢুকতে পারবেন না। রাজ্যের ও কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে বৈঠক করবেন। এরা যে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন এটাই তার প্রমাণ।
ব্যান্ডের আওয়াজ, রণ-পায়ের দাপিয়ে বেড়ানো রাস্তায় পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে বিজেপির নেতাদের বরণ করে নেওয়া হল। এই বৈঠকে এদিন দেখা গেল বিজেপির নেতাদের মধ্যে ঐক্যের সুর। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সামনে এই একতা থাকলেও তা বাস্তবে অটুট থাকে কি না, সেটা বলবে ভবিষ্যৎ।