দুর্গাপুজোয় তৃণমূলের বদলা কালীপুজো-জগদ্ধাত্রী পুজোয় নেবে বিজেপি! পরিকল্পনা তৈরি
দুর্গাপুজোয় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে অনেক পিছনে পড়ে গিয়েছিল বিজেপি। এবার কালী পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় তাই তৃণমূলকে টেক্কা দিতে উঠে পড়ে লাগল গেরুয়া শিবির।
দুর্গাপুজোয় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে অনেক পিছনে পড়ে গিয়েছিল বিজেপি। এবার কালী পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় তাই তৃণমূলকে টেক্কা দিতে উঠে পড়ে লাগল গেরুয়া শিবির। এই দুটি উৎসবকে পাখির চোখ করে প্রচারে ঝড় তুলতে বিজেপি পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলল। মূলত তাদর টার্গেট উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং হুগলি জেলা।
উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং হুগলির মতো জেলাগুলিতে কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রীপুজোর রমরমাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগানার বারাসত ও মধ্যমগ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল যেমন কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত, তেমনই হুগলির চন্দননগর বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোয়। কলকাতা তথা বাংলার দুর্গাপুজোকে যেমন কাজে লাগিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি চাইছে আসন্ন দুটি পুজোয় তৃণমূলকে টেক্কা দিতে।
বিজেপির বেঙ্গল ইউনিট সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলাগুলির বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করতে বা যতটা সম্ভব কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজনে অংশ নিতে শুরু করেছে তারা। বিজেপির সংসদ সদস্য এবং জেলা নেতারা পুজো সংগঠকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। পুজোগুলি উদ্বোধন থেকে শুরু করে নিমজ্জন পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রমেই অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি নেতারা।
কলকাতা যেমন দুর্গাপুজোর প্রাণকেন্দ্র, তেমনই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক এবং উত্তর চব্বিশ-পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম, নৈহাটির দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি অংশে কালীপুজো উদযাপিত হয় এবং জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয় এইসব পুজো। হুগলির চন্দননগর বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য।
বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, আমরা যতটা আশা করেছিলাম দুর্গাপুজোর সময় আমরা বেশি আয়োজকের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। আমরা জেলাগুলিতে যতটা সম্ভব কালীপুজো আয়োজনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারি, তার চেষ্টা করছি। এদিকে আগেই কালী পুজোর উদ্বোধন করা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোর সময় কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় তাঁর দলের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি ও নেতাদের তাদের অঞ্চল ছেড়ে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই বিজেপিও তৎপর। বিজেপি হুগলির পাণ্ডুয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এবং পূ্র্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের কালীপুজোর উপর নজর রেখেছিল।
পশ্চিম এবং পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের মতো অন্যান্য জেলাতেও বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের যে কোনও সহায়তা করতে এবং অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছে নেতৃত্ব। আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই নির্দেশ দিয়েছেন।
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় শনিবার বিকেলে পান্ডুয়ায় ছয়টি কালী পুজোর উদ্বোধন করবেন, তার পরের মাসে তিনি জগদ্ধাত্রী পুজো উদযাপন দেখতে আগামী মাসে হুগলিতে তিন দিন কাটবেন। আসানসোলে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় শুক্রবার তিনটি কালী পুজোর উদ্বোধন করেন।