পাখির চোখ গ্রামীণ ভোট, ১৬৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের অনুকরণে ‘দুয়ারে বিজেপি’
বঙ্গ বিজেপির এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে ‘দুয়ারে যুব মোর্চা’। অর্থাৎ এই নামকরণে তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করেছে তারা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রান্তিক গ্রামগুলিকে টার্গেট করেছিল বিজেপি। সিএএ ইস্যু কাজে লাগাতে প্রান্তিক গ্রামে গ্রামে জনসংযোগের বার্তা দেওয়া হয়েছিল বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকেই। এবার পুরো গ্রামীণ বাংলায় জনসংযোগ করতে চাইছে তারা।
বাংলার গ্রামীণ ভোটকে টার্গেট করে এবার দুয়ারে বিজেপি কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিজেপি এবার চাইছে গ্রামের মানুষের মন কি বাত বুঝতে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এবার সেই প্রচার আরও গভীর ঢুকে করতে উদ্যোগী তারা।
বাংলায় তেইশের পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যেদিন হোক ঘোষণা হয়ে যাতে পারে। তার আগে বিজেপি বাংলার গ্রামীণ এলাকায় বিশেষ নজর দিচ্ছে। বাংলার ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভা আসনকে তারা বেছে নিয়েছে প্রচারের জন্য। ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই তারা শুরু করে দিচ্ছে প্রচার।
বঙ্গ বিজেপির এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে 'দুয়ারে যুব মোর্চা'। অর্থাৎ এই নামকরণে তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করেছে তারা। বাংলার তৃণমূল সরকারের 'দুয়ারে সরকার', 'দুয়ারে রেশন', ইত্যাদি কর্মসূচি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবার সেই জনপ্রিয় কর্মসূচির অনুকরণেই বিজেপি প্রচার অভিযান করতে চাইছে।
বঙ্গ বিজেপি এবার বাংলার ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রে সাংগঠনিক দুর্বলতা ঠেকাতে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছতে চাইছে। তৃণমূল সম্প্রতি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূতদের পাঠাচ্ছে গ্রামে গ্রামে। বিজেপি সে অর্থে তেমন কোনও উদ্যোগ নিতে পারেনি বাংলাজুড়ে।
তাই কালক্ষেপ না করে বিজেপি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন করবে। জেলা নেতৃত্বকে সেইমতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু জেলা নেতৃত্ব নয়, রাজ্য এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও বিজেপিরও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে। এই কর্মসূচিতে তাঁরা মানুষের দুয়ারে যাবেন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বাংলার মানুষ কতটা পাচ্ছেন, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেবেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দিদির দূতেরা এলাকায় গিয়ে কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তা দেখতেই পাচ্ছেনয। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। এর থেকে স্পষ্ট তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কোন জায়গায় পৌঁছেছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে তৃণমূল ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যাবে। বিধানসভা ভোটে ১৬৩টি গ্রামীণ বিধানসভার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ১২৬টিতে। আর বিজেপি জিতেছিল মাত্র ৩৬টিতে। ঐর আইএসএফ জিতেছিল ১টিতে। এবার গ্রামের ভোটে বিজেপি চাইছে সেই হিসেব পাল্টে দিতে।