বিজেপিই ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব উসকে দিল ভবানীপুরে, ৮ ওয়ার্ডে ৮ বিধায়ককে গুরুদায়িত্ব
ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। গণেশ চতুর্থীর দিনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে।
ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। গণেশ চতুর্থীর দিনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে। তারপর শনিবার সকালেই ভবানীপুরে রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ভবানীপুরে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে বিজেপি ক্ষোভ উগরে দিল।
ভবানীপুর নির্বাচন কমিটিতে এবার রাখা হয়নি এলাকার পুরনো ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে। তার পরিবর্তনে অন্য জেলার নেতাদের দায়িত্বে আনা হয়েছে। অন্য জেলার নেতাকে ভবানীপুরের ভোট প্রচারের দায়িত্বে আনায় স্থানীয় পদ্ম-নেতারা চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মমতার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিজেপির একটা বড় অংশ।
বিজেপির একাংশের দাবি, ভবানীপুরের ভোটে অন্য জেলার নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভবানীপুরে বিজেপির একাংশই উসকে দিয়েছে বহিরাগত ইস্যু। যাঁরা ভবানীপুরকে টেনে না, তাঁরা কেন প্রচারের সম্মুখভাগে। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপিরই একংশ।। বিজেপির প্রচার তালিকায় বাদ পড়া স্থানীয় নেতৃত্বরা সরব হয়েছেন বিজেপিতে 'বহিরাগত' ইস্যুতে।
ভবানীপুরে আটটি ওয়ার্ডে বিজেপির তরফে আটজন বিধায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, বঙ্কিম ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ, সুশান্ত ঘোষ, বিমান ঘোষ, অশোক দিন্দা, মালতী রাভা, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ও পবন সিং। আটজনই ভিন্ন জেলা থেকে আগত। ফলে ভবানীপুরে তাঁরা বহিরাগত বলে বিজেপিতেই ক্ষোভের মুখে তাঁরা।
দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, এলাকার নেতাদের ব্রাত্য করে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাদের সামনে আনা হচ্ছে। এতে ফায়দা কিছু হবে না। উল্টে স্থানীয় নেতৃত্বের ক্ষোভে দলেরই ক্ষতি হবে। বিজেপির উচিত ক্ষোভ-বিদ্বেষ সরিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বকে সামনে আনা। তা না হলে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে কোনও লাভ হবে না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এলাকার নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিধায়ক ও নেতা-নেত্রীকে আনা হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক এক ওয়ার্ডের। এতে কাউকে ব্রাত্য করা হয়নি। সবাইকে নিয়েই ভবানীপুর উপনির্বাচন জিততে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি। সেইমতোই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে নেতৃত্ব।
বিজেপি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি প্রচার ও ম্যান টু ম্যান জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ওয়ার্ড ধরে ধরে বিজেপি কৌশল তৈরি করছে। শনিবার এই মর্মে বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সজল ঘোষকে এবার ইলেকশন এজেন্ট করা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। এক একজন বিধায়ককে এক এক ওয়ার্ডে নামিয়ে বাজি জিততে চাইছে বিজেপি।