মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্দেশ’ পালন করতে আসরে বিজেপি, যত গন্ডগোল কাটমানিতে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন, যাঁরা কাটমানি খেয়েছেন অবিলম্বে ফেরত দিন। তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিজেপি নয়া কর্মসূচি গ্রহণ করল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন, যাঁরা কাটমানি খেয়েছেন অবিলম্বে ফেরত দিন। তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিজেপি নয়া কর্মসূচি গ্রহণ করল। রাজ্যবাসীকে কাটমানি ফেরতে সাহায্য করতে ময়দানে নেমে পড়ল বিজেপি। মঙ্গলবার থেকে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা এই অভিযানে নামছে। প্রয়োজনে বিনামূল্যে আইনি সাহায্যও দেবে তারা।
বিজেপি স্থির করেছে, মঙ্গলবার থেকে কাটমানি ফেরত চাইতে কোনো তৃণমূল নেতা বা জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কেউ যদি সাক্ষাৎ করতে আসেন তিনি প্রয়োজনে বিজেপির সাহায্য পাবেন। বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। সাধারণ মানুষকে তো সাহায্য করবেনই, তাঁরা জনপ্রতিনিধিদেরও অনুরোধ করবেন, তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে। সেই কথোপকথন তাঁরা রেকর্ড করে রাখবেন।
বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, বিজেপি ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াবে। প্রয়োজনে বিনামূল্যে মিলবে আইনি সাহায্য। কাটমানি বিতর্কে যখন নাজেহাল তৃণমূল কংগ্রেস, নাজেহাল তৃণমূল সরকার, তখন বিজেপি পাল্টা চাপ সৃষ্টি করল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাধারণের কথোপকোথন রেকর্ড করার কথা বলে মোক্ষম চাল দিল বিজেপি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার সবথেকে বদনাম হয়েছে কাউন্সিলরদের জন্য। কেউ কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন। এর পর কাটমানি ফেরত চেয়ে জেলা জেলায় দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে জনতা। কাটমানি ইস্যুতে হুলুস্থুল পড়ে যায়। কয়েক জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপি উঠেপড়ে লেগেছে।
দেবজিৎ সরকার আরও বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পালন করতে যাচ্ছি। এটা তো আর সরকার বিরোধী বলে কেউ বাধা দিতে পারবে না। তাহলে যারা বাধা দেবেন, তারাই সরকার বিরোধী কাজ করতে বলে গণ্য হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশ যাতে বাস্তবায়িত হয়, আমরা সেই চেষ্টা করছি মাত্র।