তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে একপ্রস্থ নাটক, শেষ ভণ্ডুল কৈলাশের সভা
তৃণমূল নেতাদের দলের পতাকা তুলে দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবক্ষেক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। কিন্তু দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভে মাঠে মারা গেল সেই যোগদান মেলা।
তৃণমূল নেতাদের দলের পতাকা তুলে দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবক্ষেক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। কিন্তু দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভে মাঠে মারা গেল সেই যোগদান মেলা। বিজেপির বিক্ষোভে যোগদান পর্বেই ইতি টানতে হল। নিরাশ হয়ে ফিরতে হল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে।
তৃণমূল নেতার যোগদান মেনে নিতে না পেরে
পুরাতন মালদহ পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের যোগদান মেনে নিতে না পেরেই গন্ডগোল শুরু করেন আদি বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-সহ পদস্থ নেতা-নেত্রীরা মাঝপথেই ফিরে যান। শনিবার সন্ধ্যায় মালদলের মঙ্গলবাড়ির সভাই শেষে ভন্ডুল হয়ে যায়।
বিজেপির পর্যবেক্ষক চায়ে পে চর্চায় যোগদান বানচাল
শনিবার মঙ্গলবাড়ি পালপাড়া ধানহাটিতে বিজেপির পর্যবেক্ষক চায়ে পে চর্চায় গিয়েছিলেন। এই সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোই। জমায়েত দেখে খুশি কৈলাশ জ্বালাময়ী বক্তব্যও রাখেন। এরপর বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ঘোষণা করেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নৃপেন পাল যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। তা শুনেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।
তৃণমূল নেতাকে বিজেপিতে যোগদান করানোয় আপত্তি
তৃণমূলের ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে বিজেপিতে যোগদান করানোয় আপত্তি রয়েছেন এলাকার নেতা-কাউন্সিলরদের। আদি নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ প্রথমে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সাংসদ খগেন মুর্মু-সহ জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে ভণ্ডুল হয়ে যায় কৈলাশের চায়ে পে চর্চা।
বিজেপির টিকিটে জিতেই তৃণমূলে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর
বিজেপির দাবি, দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল কাউন্সিলরকে বিজেপিতে নেওয়া যাবে না। বহু গরিব মানুষের কাছ থেকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কাটমানি খেয়েছেন তিনি। বিজেপির ঘরে এমন দুর্নীতিবাজ নেতার ঠাঁই নেই। এরপর বিজেপি নেতা উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক শ্যামাচাঁদ গোষ যোগদান পর্ব স্থগিত করে দেন। উল্লেখ্য, বিদায়ী ওই কাউন্সিলর ২০১৫ সালে বিজেপির টিকিটেই জিতেছিলেন। তারপর তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি।